দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের আশেপাশে নেই নাসির হোসেন। বিপিএলের সর্বশেষ আসরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে জাতীয় দলের জার্সিতে তার ফেরার গুঞ্জন উঠেছিল। জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) হয়তো খেলতেন তিনি।
তবে এর আগেই আইসিসির দুর্নীতির জালে আটকা পড়লেন নাসির হোসেন। জাতীয় দলের সাবেক এই অলরাউন্ডারসহ তিন ক্রিকেটার এবং পাঁচজন অফিসিয়ালের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী ধারা ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দুর্নীতি দমন বিভাগ।
এসবের মধ্যে নাসির একাই ভেঙ্গেছেন তিনটি ধারা। ২০২১ সালে আরব আমিরাত টি-১০ লিগে খেলার সময় এই ধারা ভেঙেছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা-আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের ধারা ২.৪.৩ অনুযায়ী, কোনো ক্রিকেটার ৭৫০ ডলার মূল্যের বেশি উপহারসামগ্রী নিলে তা আইসিসি বা টুর্নামেন্টের দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের জানাতে হয়। নাসির যা করেননি। আমিরাত বোর্ডের দুর্নীতি দমন বিভাগের কর্মকর্তাদের সহযোগিতাও করেননি। উল্টো তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করায় ২.৪.৪ ও ২.৪.৬ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।
নাসিরকে আইসিসির আনীত অভিযোগ মেনে নিয়ে বা মিথ্যা দাবি করে জবাব দিতে হবে। তবে জাতীয় দলের সাবেক এই অলরাউন্ডার জবাব যা-ই দিক তদন্তে অসহযোগিতা করায় তার শাস্তি অবধারিত বলে জানিয়েছেন বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের এক কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘তদন্তের ভিত্তিতে নাসিরের বিরুদ্ধে একটি চার্জ আনা হয়েছে। এখন নাসির এর জবাব দেবে। অভিযোগ মেনে নেবে বা মিথ্যা দাবি করবে। সে অনুযায়ী আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগ বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।’
বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে একজন বলেন, ‘নাসিরের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ। প্রথম অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত বাকি দুটি। অর্থাৎ সে জিজ্ঞাসাবাদ বা তদন্তে সহযোগিতা না করার জন্যও শাস্তি রয়েছে। এখন নাসির মেনে নিক বা নাই নিক, শাস্তি পাবে। কারণ সে নিয়ম ভেঙেছে।’