নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ যাচাই-বাছাইয়ের পর সারা দেশে ২৯৮ আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে সেই তালিকা প্রকাশ করে দলটি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছে বেশকিছু নতুন মুখ। অন্যদিকে বর্তমান এমপিদের অনেকেই বাদ পড়েছেন চূড়ান্ত তালিকা থেকে। কুষ্টিয়া ও নারায়ণগঞ্জের দুটি আসনে দুই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। এবার পুরাতন ও নতুন বেশ কিছু তারকা প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তাদের মধ্যে অভিনয়, সংগীত ও ক্রীড়া তারকা রয়েছে।
মাগুরা–১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব এবারই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।মাগুরা ১ ও ২ আসন ছাড়াও ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় আবেদন ফরম নিয়েছিলেন সাবিক আল হাসান। গত ২১ নভেম্বর দুপুরের পর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে নিজে মনোনয়ন ফরম জমা দেন তিনি।
ঢাকা-১০ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ।এবারই প্রথম আওয়ামী লীগের সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পেলেন এই অভিনেতা।ঢাকা-১০ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। সেই স্থানে নায়ক ফেরদৌসকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ খবর আসার পর থেকেই শুভেচ্ছায় ভাসছেন এই অভিনেতা।
নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এবারও নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। গতবারও একই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। এবারও একই আসন থেকে নির্বাচনে লড়বেন তিনি।
আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম।কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ২০০৮ সালে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর। নীলফামারী-২ আসনের জন্য তার নাম ঘোষণা করা হয়। এর আগে আসাদুজ্জামান একই আসন থেকে ২০০১, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবার পর মন্ত্রীসভায় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।