গোলাম রাব্বানী : -জনতার অভ্যূত্থানে বিজয় এসেছে অনেক প্রাণ আর ত্যাগের বিনিময়ে। কিন্তু এই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে বহু তরুণের স্বপ্ন ঝাপসা হয়ে গেছে। এখনো শরীরে ক্ষত নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন অনেকে। সুস্থ জীবনে ফিরতে হয়ত আরও র্দীঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে তাদের। অন্যদিকে, কাজ না থাকায় সংসার চালাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের পরিবার।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে নির্বিচারে গুলি চালায় স্বৈরাচার সরকারের পুলিশ বাহিনী। জুলাইয়ের ১৬ই তারিখ থেকে শুরু করে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত গুলিতে প্রাণ গেছে দেড় হাজারের বেশি ছাত্র-জনতার। আহত হয় অন্তত ২৩ হাজারের বেশি। যাদের অনেকেই এখনও চিকিৎসা নিচ্ছেন বিভিন্ন হাসপাতালে।
দুই পায়ে রিং নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন ৩০ বছর বয়সী মনির হোসেন। ২০ শে জুলাই গাজীপুরের চৌরাস্তায় ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশের ছোড়া গুলি তার দুই পা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রায় ৪ মাস ধরে চিকিৎসা চললেও এখনো সুস্থতার মুখ দেখেনি মনির।
মনির হোসেনের মত অন্তত ১শ’ জন এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন রাজধানীর জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে। এদের বেশিরভাগের শরীরে একাধিকবার অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে এখনও শঙ্কা কাটেনি তাদের। দেরিতে চিকিৎসা শুরু হওয়ায় কারো কারো তৈরী হয়েছে শারীরিক নানা জটিলতা।
সম্প্রতি, উন্নত চিকিৎসা, আহত ও নিহতদরে পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনসহ তাদের বিভিন্ন দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা দেন উপদেষ্টারা।
এদিকে, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্যের দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকায় আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে গেছে অনেকের। চরম আর্থিক সংকট মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত করে ফেলছে তাদের।
Leave a Reply