ঝালকাঠি সংবাদদাতা: একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তানকে হারিয়ে শোকে কাতর বাবা-মা। আর তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী এখন ভবিষ্যৎ নিয়ে পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেরসময় গত ১৮ই জুলাই ঢাকার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গুলিতে আহত হন ঝালকাঠির সেলিম। ১৪ দিন লড়াই করে গেল পহেলা আগস্ট মারা যান তিনি।
গত ১৮ই জুলাই সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেন ঝালকাঠির নলছিটির যুবক সেলিম তালুকদার। ঢাকার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলাকালে সেদিন তার মাথায়, বুকে, পিঠ ও ফুসফুসে গুলি লাগে। ১২ ঘণ্টা পুলিশের গাড়িতে ঘুরে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে সেলিমকে ভর্তি করানো হয়। ১৪ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পরে পহেলা আগস্ট সকালে মারা যান তিনি।
মরদেহ বাড়িতে আনতেও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সেলিমের পরিবারকে। ময়না তদন্ত হয়নি সেলিমের মৃতদেহের। পুলিশের কাছে মুচলেকা দিয়ে মরদেহ গ্রামের বাড়ি নলছিটিতে নেয়া হয়। পরে দোসরা আগস্ট জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।
সেলিম তালুকদার বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয় অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি বিইউএফটিথেকে স্নাতক পাস করেন। ভর্তির অপেক্ষায় ছিলেন মাস্টার্সে। পাশাপাশি তিনি নারায়ণগঞ্জ মাল্টিফ্যাবস লিমিটেড কোম্পানিতে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনার পদে কর্মরত ছিলেন।
একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তানকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন বাবা মা। তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সুমি আক্তারও বাকরুদ্ধ।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা নলছিটি শহরের বাসস্ট্যান্ডে বিজয় উল্লাস ৭১ চত্বরকে শহীদ সেলিম তালুকদার স্মৃতি চত্বর নাম দেন।
Leave a Reply