নিজস্ব প্রতিবেদক : অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আমেরিকা, মালয়েশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হচ্ছে বলে জানিয়েছে দুদক। তবে এসব দেশ থেকে খুব একটা সহযোগিতা পাচ্ছে না এমন অভিযোগ করে সংস্থাটির মহাপরিচালক বলেন, পাচার হওয়া দেশে ৭১ টি চিঠি পাঠিয়ে জবাব পেয়েছেন মাত্র ২৭ টির।
এদিন মানিলন্ডারিং ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করেছে দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহ। তারা দুদককে সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
বিগত সরকারের আমলে অন্তত ১৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। দুদক বলছে, এর মধ্যে কানাডার বেগম পাড়া, আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া , সুইজারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে সবচেয়ে বেশি টাকা পাচার আমলা কিংবা সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা।
তবে, এসব দেশে চিঠি দিয়ে তথ্য চাইলেও কোন ধরণের সহযোগিতা পাচ্ছে না দুদক। যে কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এফবিআইসহ বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতা পেতে দফায় দফায় বৈঠক করছে দুদক।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় দুদকের চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহ’র সাথে বৈঠক করেছে ডক্টর মাইকেল ক্রেজার নেতৃত্বে তিন সদস্যদের ইইউ প্রতিনিধি। বৈঠক শেষে দুদককে মানিলন্ডারিংয়সহ সামগ্রিক বিষয়সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন প্রতিনিধি দল।
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলছে, পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে প্রতিনিধি দল।
ইতোমধ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের লন্ডনে থাকা ৩৬০ টি বাড়ির সন্ধানে মাঠে নেমেছে দুদক।
Leave a Reply