নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর উত্তরখান থানার ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বিরের বিরুদ্ধে ওয়াস ফ্যাক্টরীর পরিচালক ইমনকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গত ২০ শে নভেম্বর সোমবার আনুমানিক রাত ৯.৩০ মিনিট ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান ইমনকে প্রকাশ্যে মারধোর করেন সাব্বির।
উত্তরখান মাদারবাড়ী এলাকায় ভুক্তভুগি ইমনের একটি ওয়াসিং ফ্যাক্টরী রয়েছে। ব্যবসায়ীক কাজে ইমন তার অন্যান্য পার্টনারদের সাথে ঐ দিন সন্ধ্যার পর হযরত শাহ কবির (রহ.) মাজার এলাকায় যায়। কাজ শেষে তারা উত্তরখান মাজার বটতলা ভিতরের গলি দিয়ে বের হয়ে হযরত শাহ কবির( রহ.) ওয়াকফ এস্টেট কাঁচা বাজারে ডুকলে উত্তরখান থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির আহমেদ আমার কাঁধে হাত দিয়ে জোরপূর্বক একপাশে নিয়ে যায়। সেখানে লোকজনের সামনে প্রকাশ্যে আমার মাথায় এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি ও থাপ্পর মারতে থাকে। আমাকে মারছেন কেন জানতে চাইলে সাব্বির বলে, এলাকায় ব্যবসা করলে তার সাথে দেখা করতে হয় আমি করলাম না কেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ঐ রাতে সাব্বির নেশাগ্রস্ত ছিল।তারা বলেন, এতো বড় দায়িত্বশীল একজন নেতা কি ভাবে প্রকাশ্যে নেশা করে এসে জনসম্মুখে মানুষ কে হেস্তনেস্ত করতে পারে! তারা এঘটনার বিচার চায় ।
এ ঘটনায় ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ও খুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তারা ঘটনার সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নিবেন বলে আস্বস্ত করেন । এছাড়াও গত ১ বছর আগে সাব্বিরের বিরুদ্ধে ইয়াবা সেবনের সংবাদ ও একটি ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইমনের মাথা, ঘাড় গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম হয়। মারের আঘাত সহ্য করতে না পেরে ঘটনার রাতে ইমন টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়।
চিকিৎসা শেষে ভুক্তভোগী পুলিশকেইস চিকিৎসা সনদ নিয়ে এসে উত্তরখান থানা মামলা করতে গেলে ডিউটি অফিসার মামলা না নিয়ে তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে উত্তরখান থানা ছাত্রলীগ সভাপতি সাব্বিরের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি মুঠোফোনটি ধরেননি। (পর্ব-১)