আজ সোমবার বিকেলে ৩টা ৪০ মিনিটে ঢাকার বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়।
রাজধানীর উত্তরায় আমির কমপ্লেক্সে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শুরু হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে ৩টা ৪০ মিনিটে ঢাকার বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা মঞ্চে অবস্থান নেন।
সমাবেশে আ. লীগ নেতারা অভিযোগ করেন, আগামী নির্বাচন বানচালের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে।
আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন তারা।
ঢাকা মহানগর (উত্তর) সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রাজপথে বিএনপির বিক্ষোভের বিপরীতে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী লীগ।
এদিকে নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে সরকারের পদত্যাগ ও জাতীয় নির্বাচনের এক দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকায় সমাবেশ করছে বিএনপি।
ক্ষমতাসীন দলও ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আগামী মাসে খেলা হবে। আর আসল খেলা হবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কালো হাত গুড়িয়ে দেওয়া হবে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে করে গণতন্ত্রের পথে আসতে বিএনপিকে ৩৬ দিনের আল্টমেটাম দেন তিনি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যদি অস্ত্র নিয়ে আসে, তাহলে ঐ হাত ভেঙে দিতে হবে। যদি আগুন নিয়ে আসে, ঐ হাত পুড়িয়ে দিতে হবে।
মার্কিন ভিসানীতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঐ ভিসানীতির তোয়াক্কা আমরা করি না। বার্তা দিয়ে দিচ্ছি, কারো নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা আমরা করি না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, আমার গণতন্ত্র আমি করব, আমার নির্বাচন আমি করব। রক্ত দিয়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে কারো নিষেধাজ্ঞা মানার জন্য নয়।