অনলাইন ডেস্ক : ভারী বৃষ্টির পর জলাবদ্ধতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল কক্সবাজারের জনজীবন। দুইদিনের অতিবৃষ্টিতে কক্সবাজারের শতাধিক জনপদ পানিতে নিমজ্জিত হয়। একই সঙ্গে পাহাড়ি ঢল ও পানি প্রবেশ করে জেলার বেশকিছু গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
তবে শনিবার বৃষ্টি কমার সাথে সাথে বিপর্যস্ত জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসছে। প্লাবিত হওয়া নিম্নাঞ্চল থেকে বৃষ্টি ও ঢলের পানি নামতে শুরু করেছে। থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। এরসাথে ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে রাস্তা ঘাট। সেই সাথে এখনো কক্সবাজারের শতাধিক জনপদ জলমগ্ন হয়ে আছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ২২৫ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে কক্সবাজারে। সকাল ৬ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টায় ৬০ মিমি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আজকেও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী কাল আবহাওয়া ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানান সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান।
কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিভীষণ কান্তি দাশ জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টির কারণে কক্সবাজারের অনেক এলাকা এখনো পানির নিচে। কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। এছাড়া ঝিলংজা দক্ষিণ ডিককুলে পাহাড় ধসে নিহত তিনজনের পরিবারকে ৭৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান থেকে লোকজন সরিয়ে নেওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কাজ চলছে।
এদিকে, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ধমকা হাওয়া ও ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া ১৩টি ফিশিং ট্রলারের মধ্যে তারমধ্যে ৮ টি ট্রলার কলাতলী ও উখিয়ার ইনানীর পাটোয়ারটেক পয়েন্টে ভেসে এসেছে। সেখান থেকে তিন শতাধিক জেলে জীবিত উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে শনিবার সকালে হিমছড়ি ও নাজিরার টেক সৈকত থেকে ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও স্থানীয়রা। এরআগে শুক্রবার কলাতলি পয়েন্ট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ১ জেলের মরদেহ।
কক্সবাজারের এখনো ৫০ থেকে ৬০টি ট্রলার ও জেলে নিখোঁজ রয়েছে। ট্রলার ও জেলেদের দ্রুত উদ্ধারের দাবী জানান কক্সবাজার ফিশিং বোট মালিক সমিতির নেতা মো. জয়নাল আবেদীন।