হায়দরাবাদে মঙ্গলবার শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচজয়ী সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন পাকিস্তানের উইকেটকিপার-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। তার দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতে পাকিস্তান।
রিজওয়ানের অপরাজিত ১২১ বলে ১৩১ রানে পাকিস্তান ৩৪৫ রানের লক্ষ্য ছোঁয় ৬ উইকেট ও ১০ বল হাতে রেখে।
রিজওয়ানের ইনিংসি ছিল বাধিয়ে রাখার মতো। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে মাথা ঠাণ্ডা রেখে ব্যাট করেন এই মিডলঅর্ডার। ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলার পথে রিজওয়ান ক্লান্তি, পিঠের ব্যথা ও ক্র্যাম্পের সঙ্গে লড়াই করেন।
রান তাড়ায় ৩৬তম ওভারে পিঠ ধরে মাটিতে পড়ে যান রিজওয়ান। এর আগে কয়েকটি ওয়াইড ডেলিভারি মারার সময় তার চোখেমুখে যন্ত্রণার ছাপ ছিল স্পষ্ট। দলের ফিজিও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর রিজওয়ান আবার ইনিংস শুরু করেন।
কয়েক ওভার পর ডান পায়ের চোট নিয়ে আবার মাঠে পড়ে যান রিজওয়ান। আবার ফিজিও এসে তার ক্র্যাম্পের চিকিৎসা করেন। দ্রুত ফের ইনিংস শুরু করেন পাকিস্তানি ব্যাটার।
ম্যাচের পর ইনিংসের মাঝপথে শারীরিক ভোগান্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে ম্যাচসেরা খেলোয়াড় হাসতে হাসতে সরল স্বীকারোক্তি দিনে, ‘কখনো ক্র্যাম্প, কখনো অভিনয়।’
তাহলে রিজওয়ান কি চোট পাননি? মজা করেছেন?
পাকিস্তানি উইকেটকিপার-ব্যাটার বলেন, ‘ড্রেসিংরুমের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের বিশ্বাস ছিল আমরা রান তাড়া করতে পারব। আসলে এটা ছিল ভালো পিচ এবং আমরা ইনিংস হিসাবনিকাশ করে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
এদিকে ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে তাকে প্রশ্ন করা হয়, ভারতে কেমন আতিথেয়তা পাচ্ছেন।
জবাবে রিজওয়ান বলেন, ‘আতিথেয়তা তো আপনারা দেখেছেনই বিমানবন্দরে। তারা যেভাবে বিমানবন্দরে আমাদের স্বাগত জানিয়েছিল, তা অসাধারণ ছিল। আজকে মাঠে দেখেছেন, গ্যালারিতে আমাদের অনেক সমর্থক ছিল। দারুণ! আমার তো মনে হচ্ছিল রাওয়ালপিন্ডিতে খেলছি। লাহোর অনেক বড় ম্যাচ, অনেক সমর্থক আসে। তবে আমার আজ মনে হয়েছে রাওয়ালপিন্ডিতে খেলছি।’
রিজওয়ান যেমন ভারতের প্রশংসা করেছেন, তেমনই দুর্দান্ত সেঞ্চুরির ইনিংসের সুবাদের সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটারদের (বীরেন্দর শেবাগ, ইরফান পাঠান, সঞ্জয় মাঞ্জরেকার, মোহাম্মদ কাইফ প্রমুখ) প্রশংসাও পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: শ্রীলংকাকে হারিয়ে যত রেকর্ড গড়ল পাকিস্তান
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের পরবর্তী ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে। গুজরাটের আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় এই ম্যাচটি।
Leave a Reply