যখন এক বিভীষিকাময় গহ্বরের অতল অন্ধকারে,
ডুবে দিনাতিপাত করছিলাম
নির্জন নিস্তব্ধ রাত্রিতে আপনমনে
উচ্চকন্ঠে আত্মবিলাপ করছিলাম
প্রকৃতির সকল বস্তুকে দিগুণ ভয়ংকর মনে হচ্ছিল
এমনকি নিজের জন্মকেও অভিশাপ দিয়েছিলাম !
কেউ এগিয়ে আসেনি বরং
দূর থেকে আমার দেখেছে তামাশা
হঠাত তোমার আগমনে হাস্যজ্জল মুখ দেখে
মনে হয়েছিলো নতুন পৃথিবীর নতুন সকাল
বহুদিন পর তোমার আলিঙ্গনে নিজেকে আবদ্ধ দেখে
নির্মল দক্ষিণা বাতাসে প্রাণ ভরে শ্বাস নিয়েছিলাম!
তোমার কোমল পরশে নতুন করে কেঁপে উঠা আমার
আমার উদ্দিগ্নতায় পারোনি তুমিও দূরে থাকতে
মুখ দেখেই বুঝেছি আশংকায় ভুগেছো তুমিও
যেখানে অন্যের দ্বারা সম্পূর্ণ প্রতারিত হয়েছি
তুমি বলছো ভয় তোমার সেখানেই
কোনো লাভ নেই তাতে !
অসম হলেই কি ভালোবাসা কলুষিত হয়ে যায়
কেন ভাবছো মিছে সেসব
তার চেয়ে এসো যতোদিন বাঁচি একসাথে বাঁচি
অবশ্য তোমার এখনো সময় আছে
যে কোনো মুহূর্তে দক্ষিণা বাতাস বয়ে যেতে পারে
কিভাবে বাঁচবো তখন পারবে বলে দিতে!
তোমার হাসি, দুষ্টামি, গান, কৌতুক
আমার ভাল থাকার খোঁড়াক
আর তোমার লোমে ঢাকা প্রশস্ত বুকটা
আমার একমাত্র আশ্রয়স্থল
যে যাই বলুক তুমি তো জানো
তুমি ছাড়া আমি সম্পূর্ণ একা!
সব সইতে পারি কেবল তোমার বিরহ নয়
যখন যেদিকে যাই
পারবেনা আমার সাথী হতে
বয়সের ভাঁড়ে ন্যুয়ে পড়তে হবে না আমায়
বহুবছর আগেই বিদায় নেব নশ্বর পৃথিবী থেকে
যদি না পাই তোমার দেখা!