মোঃ মেহেদী হাসান সোহাগ :
মোজাম্মেল হক একজন ব্যবসায়ী, এলাকার মানুষের কাছে তিনি একজন শিল্পপতি।কিন্তু তার রয়েছে ব্যংক ঋন, মূলত তার দানের স্বভাব এত বেশি যে মানুষ তাকে শিল্পপতি মনে করে। বহু শিল্পপতি মানবকল্যাণে হাত বাড়াতে যতটা হিসাব করে মোজাম্মেল হক তার উল্টো পকেটে টাকা থাকলেই দান তাকে করতেই হবে।
পরিচিতজন ও কাছের মানুষরা তাকে পাগল বলে ডাকে। সারাদিন কষ্ট করে যা আয় করেন সবই যেন ব্যয়ের খাতায় থাকে তাই তার পরিবার থেকে পাগল উপাধি প্রাপ্তি।
মোজাম্মেল হকের ডিয়া বাড়ি কার্যালয়ের ম্যানেজারের সাথে কথা বলে জানা যায়, মোজাম্মেল হকের স্বভাবটাই এমন, তিনি বলেন ভাইয়ের কাছে যারা আসে তাদের কাউকেই খালি হাতে যেতে দেখিনি। বিপদগ্রস্ত মানুষকে সব সময় পাশে রাখাযই যেন তার একটি বৈশিষ্ট্য। অসহায় মানুষের জন্য সব সময় দুই হাত খুলে তিনি দান করেন।
টঙ্গির বাসিন্দা ইউসুফ বলেন আমি যতবারই বিপদে পড়ে ভাইয়ের কাছে গিয়েছি ভাই কখনোই আমাকে খালি হাতে ফেরান নাই। তিনি মানুষজন সঙ্গে নিয়ে চলতে পছন্দ করেন এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পছন্দ করেন।
উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের সাকিল আল ফারুকী বলেন, আমার দেখা শ্রেষ্ঠ মানুষের মধ্যে তিনি একজন আমি নাম শুনেছি হাজী মোহাম্মদ মহসিন এর কিন্তু দেখেছি মোজাম্মেল হক কে।
মোজাম্মেল হকের নিজ জন্মস্থানে রয়েছে তার বেশ পরিচিতি ও খ্যাতি, মুক্তাগাছা দুলাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের ময়মনসিংহের বাসিন্দা এই মোজাম্মেল হক। সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম।
নিজ এলাকায়২০২২ সালে করেছিলেন চেয়ারম্যান নির্বাচন, সেই থেকে ওই এলাকার চেয়ারম্যান যেন তিনিই হয়ে আছেন। মানুষের অপেক্ষা দীর্ঘ লাইন চেয়ারম্যান না হয়েও চেয়ারম্যানের দায়িত্ব যেন তাকেই পালন করতে হয়। এলাকার উন্নয়নমূলক প্রত্যেকটি কাজেই তার অবস্থান রয়েছে নিবিড় ভাবে। উৎসব কিংবা কোন দিবস অথবা কোন আয়োজনে এলাকায় প্রবেশ করলেই প্রবেশ মুখ থেকে ঢাকা না ফেরা পর্যন্ত জনসমাগম যেন তার সঙ্গেই লেগে থাকে।
এই সকল বিষয় মোজাম্মেল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শূন্য হাতে এসেছি এবং শূন্য হাতেই যাব। তাই অর্থবিত্তের প্রাচুর্য নিয়ে আমার তেমন কোন আকাঙ্খা নাই শুধু মানুষের প্রেম ও ভালোবাসার প্রতি রয়েছে লোভ । আরে এ কারণেই আমার পরিবার আমাকে পাগল ডাকে,আমার মাও আমাকে পাগল বলেই ডাকে। আমি সব সময় চেষ্টা করি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে।
জানতে চেয়েছিলাম আগামীবার চেয়ারম্যান নির্বাচন করবেন কি? তিনি বলেন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম চেয়ারম্যান নির্বাচন করবো না। এলাকার কিছু মানুষ তা শুনে কেঁদে ফেলেছে বলেছে যা খরচ যাবে প্রচারের জন্য তা আমরা করব মানুষের এমন দাবীর মুখে না করাটা সম্ভব না। তারপরও ভাবছি দেখি কি করা যায়।
তার নিজ এলাকার চায়ের দোকানদার সুমন বলে, মোজাম্মেল হকের মতো ভালো মানুষ আমাদের এলাকায় আমি আর কখনোই দেখি নাই, তাদের পুকুরে মাছ ধরলে পুরো এলাকার মানুষকে মাছ খাওয়ানো হয়। যা অন্য কোন এলাকার কোন মানুষ করে কিনা আমার জানা নেই।
শুধুমাত্র আমাদের এলাকা না পুরা দেশে এখন পর্যন্ত প্রায় হাজারো মাদ্রাসা মসজিদে দান উনি করেছেন। নিজ খরচে নিজ এলাকায় মসজিদ তৈরি করেছেন। এখনো একটি মাদ্রাসার প্রায় চল্লিশটা এতিমের খরচ তিনি নিজেই বহন করেন। তাই আমাদের এলাকার এই সন্তান মোজাম্মেল হক কে নিয়ে আমরা গর্ব করি।
Leave a Reply