আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরাইলের হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়াও এখনও কয়েক হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। সোমবার গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, গেল ৭ই অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬ হাজার ১৫০ শিশু এবং ৪ হাজার নারী রয়েছেন। এছাড়াও গাজার রাস্তায় অসখ্য মরদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, গাজায় এখনো অন্তত সাত হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। এর মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা চার হাজার ৭০০ জনের বেশি। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। যার মধ্যে ৭৫ শতাংশই নারী ও শিশু। নিহতদের মধ্যে ২০৭ চিকিৎসাকর্মী, ৭০ সাংবাদিক ও ২৬ বেসামরিক প্রতিরক্ষা উদ্ধারকারী দলের সদস্য রয়েছেন।
এছাড়াও এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারেরও বেশি বাড়ি ঘর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আর নষ্ট হয়ে গেছে ২ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি অবকাঠামো। এছাড়া ৮৮টি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে, আর আংশিক ধ্বংস হয়েছে ১৭৪টি মসজিদ। এমনকি তিনটি গির্জায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। এদিকে গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরাইলে ১২শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারি কর্মকর্তারা।
এর আগে ৭ই অক্টোবর ইসরাইলের হামলা চালায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। জবাবে ওই দিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল। এর মধ্যে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের কয়েকটি জায়গায় আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা।
কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস-ইসরাইল সংঘাত শুরুর ৪৮ দিন পর গত শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির এ চারদিনে হামাস ৫০ জন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে ইসরাইল তাদের কারাগারে বন্দি ১৫০ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেবে এবং গাজায় ত্রাণবাহী ২শ ট্রাকের পাশাপাশি এক লাখ ৪০ হাজার লিটার জ্বালানি ও গ্যাসভর্তি অন্তত চারটি লরি প্রবেশের দেয়। গতকাল ছিল চারদিনের এ যুদ্ধবিরতির শেষ দিন। এদিন হামাস ও ইসরাইল সরকারের সম্মতিতে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দুদিন বাড়ানো হয়েছে।
Leave a Reply