আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় আজ যুদ্ধবিরতি শুরু নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যুদ্ধবিরতীতে রাজী হলেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। একটি শরণার্থী শিবির ও হাসপাতালে বোমাবর্ষণ করেছে তারা। হামলা চালিয়েছে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে বেইত ইয়াহুন এলাকায় হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতেও। সেই সাথে শুক্রবারের আগে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে তেল আবিব।
বৃহস্পতিবার থেকে অন্তত চার দিনের জন্য ইসরাইলি বাহিনীর চলমান নৃশংতা ও হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে এমন আশায় বুক বেধেছিলো গাজাবাসী। পাশাপাশি মুক্তির আশা করছিলেন দুই পক্ষের বন্দিদের স্বজনরা। তবে সেই আশা আবারও ক্ষীণ হতে শুরু করেছে।
ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাচি হানেগবি জানিয়েছেন, শুক্রবারের আগে কোনো বন্দিইকেই মুক্তি দেয়া হবে না। যা যুদ্ধবিরতি পেছানোরই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ইসরাইলি বাহিনী যুদ্ধবিরতির পেছানোর যে পায়তারা করছে, তার প্রমাণ দিয়েছে বুধবার রাতেও। যুদ্ধবিরতি চুক্তির রাতেই গাজাজুড়ে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে তারা। বেশি হামলা হয়েছে গাজার দায়ের এল-বালাহ ও নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে। এসব হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছে। এর বাইরে খান ইউনিস ও মিসর সীমান্তের কাছে অবস্থিত রাফা সীমান্ত এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।
গাজা উপত্যকা দিন দিন শিশুদের জন্য নরক হয়ে পড়ছে। গত দেড় মাসের ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ১৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৫ শতাংশই শিশু। ইউনিসেফের মতে বর্তমানে শিশুদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক জায়গা হয়েছে গাজা।
এদিকে, বুধবার সন্ধ্যায় লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে বেইত ইয়াহুন এলাকায় হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে বিমান হামলা করেছে তেল আবিব। এতে লেবাননের জ্যেষ্ঠ এক এমপি’র ছেলেসহ হিজবুল্লার পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
Leave a Reply