নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৯৯১ সাল থেকেই গাজীপুরের ৫টি সংসদীয় আসন আওয়ামী লীগের দখলে। মাঝে দুটি আসন হাত ছাড়া হলেও ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে সবগুলিই আওয়ামী লীগের। তবে গত ১৫ বছরে ক্ষমতায় থাকায় স্থানীয় নেতাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়েছে। এই নির্বাচনে বিএনপি জোট না থাকায় আওয়ামী লীগ ও তাদের দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই প্রতিদ্বন্দ্বী। ৫টি আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থক বলে আলোচনা আছে।
গেলো ১৫ বছর গাজীপুরের সংসদীয় আসনগুলোতে জিতেছে আওয়ামী লীগ। ২০০৮ সালের আগে এই জেলায় আসন ছিলো ৪টি। নতুন সীমানা নির্ধারণ হলে গাজীপুরে ৫টি আসন হয়। গাজীপুর ২ ও ৩ আসনে ১৯৯১ এবং ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হয়। এছাড়া অন্যসব জাতীয় নির্বাচনে ৫টি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়।
এবার নির্বাচনে বিএনপি না থাকলেও গাজীপুরে নির্বাচনের মাঠের সমীকরণ ভিন্ন। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো জাতীয় নির্বাচনেও আলোচনায় সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের নাম। তিনি প্রার্থী না হলেও গাজীপুরের ৫টি আসনেই তার সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আছে। এদের একজন ছাড়া বাকিরা সবাই ট্রাক প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছেন।
প্রতিটি আসনেই প্রচারণায় এগিয়ে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এই জেলায় নৌকা ও ট্রাকের মধ্যে মূল লড়াই হবে বলে মনে করেন তারা।
গাজীপুর ১ আসনে নৌকার প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। গাজীপুর ২ আসনে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। গাজীপুর-৩, ৪ ও ৫ আসনে সিমিন হোসেন রিমি, মেহের আফরোজ চুমকি ও রুমানা আলী টুসী। তারা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এলাকায় পরিচিত মুখ হওয়ায় ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে বলে মনে করেন এলঅকার মানুষ।