নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচল এবং কক্সবাজারে ঝিনুক আকৃতির আইকনিক রেল স্টেশনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুরে (শনিবার) কক্সবাজারে আইকনিক রেল স্টেশনে আয়োজিত সুধী সমাবেশে এই উদ্বোধন করেন তিনি।
এর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সারাদেশে রেল যোগযোগের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। সাধারণ মানুষের জন্য সহজ ও অল্প খরচে চলাচলের ব্যবস্থা করতে দেশজুড়ে আধুনিক রেল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। এসময় শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক ট্রেনসেবা নিশ্চিতে কাজ চলছে। অত্যাধুনিক কোচের পাশাপাশি ট্রেনের বগিতে ওয়াইফাইও থাকবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে, তাদের সহ্য করা হবে না। এদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।
ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ কারো হাতে তুলে দিতে রাজি হননি বলেই ২০০১ সালে ক্ষমতা হারাতে হয়েছিলো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরন করে তাঁর সরকার সবসময় দেশের স্বার্থেই কাজ করবে।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেলপথ ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ। এরমধ্যে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে দোহাজারি পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার পথ বৃটিশ আমলে তৈরি। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটি হাতে নেয় বর্তমান সরকার। এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার বিবেচনায় গৃহীত একটি মেগা প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় সংস্কার করা হয়েছে শতবর্ষী কালুরঘাট সেতু।
২০১৮ সালের জুলাইয়ে দোহাজারি থেকে কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণে মেগা প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই মেগা প্রকল্পে ১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।
প্রকল্পের আওতায় দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার, রামু থেকে কক্সবাজার ১৪ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ হয়েছে। রেলপথে স্টেশন গুলো হলো- সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়ার সাহারবিল, ডুলাহাজারা, ঈদগাও, রামু, কক্সবাজার সদর।
সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে সেতু। এ ছাড়া ৪৩টি ছোট সেতু, ২০১টি কালভার্ট, সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া এলাকায় একটি ফ্লাইওভার, ১৪৪টি লেভেল ক্রসিং এবং রামু ও কক্সবাজার এলাকায় দুটি হাইওয়ে ক্রসিং রয়েছে।
Leave a Reply