অনলাইন ডেস্ক: টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এর সঙ্গে ধরলা ও স্থানীয় আরও ১৯টি ছোট নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে উত্তরের জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল। তিস্তা নদীর ডালিয়া ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়ায় প্লাবিত হয়েছে ভাটি অঞ্চলের অনেক এলাকা।
এদিকে, পদ্মা নদীর পানি বেড়ে ডুবেছে চাপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোরের নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দী কয়েক হাজার পরিবার।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে হঠাৎ ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টি চলছে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলেও। এতে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও আত্রাই নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে।
গত বুধবার থেকে বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বেড়েছে তিস্তা নদীর পানি। বর্তমানে পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে। এতে ডুবেছে জেলার নিুাঞ্চলের অনেক এলাকা, ফসলের ক্ষেত, অনেক বাড়িঘরেও পানি প্রবেশ করেছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
নীলফামারীতে তিস্তা, যমুনেশ্বরী, নলডাঙ্গা, ইছামতীসহ অন্যসব নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। ইতোমধ্যেই জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাড়ি ঘরে পানি উঠেছে। তলিয়েছে ফসলের ক্ষেত।
তিস্তার পানি বাড়ায় ডুবেছে রংপুরের চরাঞ্চলের অনেক এলাকা। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মানুষজন। এছাড়া কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার নিম্নাঞ্চলেও পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপচর চরগুলোতে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে। এদিকে, উজানের ঢলে পদ্মা ও মহানন্দা নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি গ্রাম। বাড়িঘর ও সড়কে পানি উঠেছে। কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি।
পদ্মার পানি বাড়ায় নাটোরের লালপুর উপজেলার নিমতলি, চরজাজিরা ও রসুলপুরসহ প্রায় ১৮টি চর এলাকা তলিয়েছে পানিতে। বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেত ডুবে থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষক।
Leave a Reply