মোঃ মেহেদী হাসান সোহাগ: কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে বেড়েছে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা। সেখানকার আশ্রয় শিবিরে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীই মূলত এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। গেলো এক বছরে টেকনাফে দেড়শ’রও বেশি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে আতংকিত স্থানীয়রা। অপহরণ রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ অভিযানের দাবি জানিয়েছে টেকনাফবাসী।
২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমনপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে অন্তত দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। তার আগে ও পরেও এসেছে অনেকে। উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ী অঞ্চলের ৩৩ টি আশ্রয় শিবিরে এসব রোহিঙ্গারা বসবাস করছে। যেসব শিবিরে প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে প্রায় ১০০ শিশু। ফলে দ্রুত বাড়ছে এদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা।
এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গারা কর্মহীন জীবনযাপন করছে। জড়িয়ে পড়ছে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, ডাকাতি, মাদক চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপরাধে। তাদের এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে আতংকিত সীমান্ত জনপদের বাসিন্দারা।
গত কয়েক বছরে টেকনাফ ও উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরসহ আশপাশের এলাকায় হত্যা, অপহরণ, গুম ও চাঁদাবাজির ঘটনা বেড়েছে। শুধুমাত্র টেকনাফ উপজেলাতেই এক বছরে দেড় শতাধিক অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছে, সুনির্দিষ্ট কোনও তালিকা না থাকলেও অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে।
অপরাধ দমনে ক্যাম্পের বাইরে থাকা রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।