নীলফামারী সংবাদাতা : দেশের সবচেয়ে বড় সেচ অবকাঠামো তিস্তা সেচ প্রকল্পের ৫৫ শতাংশ খাল অকেজো হয়ে পড়েছে। কোথাও মাটি জমে খাল বন্ধ, কোথাও বা তৈরি হয়েছে চলাচলের রাস্তা। এতে সেচ প্রকল্পের পানি পায় না কৃষকরা। ফলে সেচ দিতে বিকল্প ব্যবস্থা করতে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হচ্ছে কৃষকদের। তবে, পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, খালের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে।
তিস্তা ব্যারাজের সেচ প্রকল্প এলাকা ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৫০ হেক্টর। তিস্তা নদীর পানি দিয়ে সেচ প্রকল্প এলাকার ১৫ লাখ কৃষককে সেচ দেয়ার কথা। তবে অনেক স্থানে খাল সংস্কারের অভাবে ৫৪ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি। কোথাও কোথাও খাল সমান করে চলাচলের রাস্তা করা হয়েছে, কোথাও মাটি জমে বন্ধ হয়ে গেছে পানি প্রবাহ। ফলে, পানি না পেয়ে খালের ওপর সেচ মটর বসিয়ে চাষাবাদ করেন স্থানীয়রা।
দীর্ঘ ২৫ বছর পরে ২০২১ সালে তিস্তা সেচ প্রকল্পের খাল সংস্কার শুরু হয়। নতুন খালও কাটা হচ্ছে। কাজ শেষ হলে কৃষকরা সুবিধা পাবে এবং ফসল উৎপাদন বাড়বে বলে আশা পানি উন্নয়ন বোর্ডের।
৭১২ কিলোমিটার খাল সংস্কারে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪শ কোটি ৫২লাখ টাকা।
Leave a Reply