নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতাদের নামে করা দুর্নীতির মামলা এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা এসব মামলার বেশিরভাগের তথ্য প্রমাণ না থাকায় এখন দায়মুক্তি দিচ্ছে সংস্থাটি। গত ১৫ বছরে বিএনপি’র অর্ধশতাধিক নেতার নামে দুদকে মামলা রয়েছে। এসব মামলায় দুদকের ভূমিকার সমালোচনা করেছে টিআইবি।
এই কান্না দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে চলতে থাকা হয়রানি মূলক মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার আনন্দে। সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অবৈধ সম্পদ অর্জন ও প্লট জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের করা দুই মামলা থেকে অব্যাহতি পান।
২০১৯ সালে মারা গেলেও এখনো তদন্ত চলছে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের বিরুদ্ধে করা মামলার। ২০২১ সালে মারা যান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। তার নামেও দুদকের মামলা চলছে। মারা যাওয়ার পরেও যাদের নামে মামলার খড়গ ঝুলছে তালিকায় আছেন, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেনও। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল থেকে শুরু করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পর্যন্ত বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে এসব মামলা দেয়া হয়।
২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে ব্যাংক একাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমি খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুদক। আট বছর ধরে ঝুলে থাকা সেই অভিযোগ থেকে সম্প্রতি তাদের মুক্তি দিয়েছে সংস্থাটি।
দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও তার সহধর্মিণীকেও অব্যাহতি দিয়েছে দুদক। দুর্নীতির ছয় মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন বিএনপির সাবেক নেতা মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী ফালুও। অথচ বিগত ১৫ বছরে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে এসব মামলার বিষয়ে তৎপর ছিল সংস্থাটি।
টিআইবি বলছে, আইনি সক্ষমতা থাকার পরেও রাজনৈতিক বিবেচনায় সব সময় কাজ করেছে দুদক। তাই তাদের আচরণ ও ভূমিকা জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।
Leave a Reply