এজাজুল হক মুকুল : নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া প্রার্থীদের অনেকেরই সম্পদ গত ৫ বছরে বেড়েছে। নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া প্রার্থীদের হলফনামা থেকে জানা যায়, ৫ থেকে ১৫ বছরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্যদের দ্বিগুণ থেকে ৪০ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে সম্পদ। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ও অনন্যান দলের প্রার্থীদেরও সম্পদের পাশাপাশি বার্ষিক আয় বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুন।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ৫টি সংসদীয় আসনে আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হেভিওয়েট প্রার্থীদের সম্পদ গত ৫ বছরে বেড়েছে। তাদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের অস্থাবর সম্পত্তি ১০ বছরে বেড়েছে ৩ গুণের বেশি। এ সময়ে তিনি আগের চেয়ে সাড়ে ১২ গুণ বেশি কৃষিজমির মালিক হয়েছেন। পূর্বাচলে রাজউক এর একটি ১০ কাঠার প্লট ও ২টি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ির মালিক হয়েছেন। আর তাঁর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে সাড়ে তিন গুণের বেশি।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সম্পদ ও ঋণ দুটিই গত ১৫ বছরে বেড়েছে। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে বর্তমানে তিনি ১ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকার মালিক। এই সম্পদের বিপরীতে তাঁর ব্যাংক ঋণ ৯৩৫ কোটি টাকা। এই সময়ের মধ্যে তার স্ত্রী হাসিনা গাজীর সম্পদ ২ কোটি ১৯ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা হয়েছে।
১৫ বছরের ব্যবধানে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলামের অকৃষিজমি বেড়েছে ৪২ গুণ। তাঁর স্ত্রী শূন্য থেকে ৩৫৫ শতাংশ অকৃষি জমির মালিক হয়েছেন। পেশা দেখানো হয়েছে ব্যবসায়ী। তাঁর স্ত্রী সায়মা ইসলাম আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের নামে কোনো সম্পদ ছিল না। কিন্তু গত ১৫ বছরে এই সংসদ সদস্য ও তাঁর স্ত্রীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের হলফনামায় তিনি নিজেকে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। কৃষিখাত থেকে সেলিম ওসমানের বাৎসরিক আয় ৩১ লাখ ৬১ হাজার ২৯৮ টাকা। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেলিম ওসমানের সম্পদ বেড়েছে অনেক।