দৈনিক শিক্ষা নিউজ প্রতিবেদন : পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ২৮ নভেম্বর এক আন্ত মন্ত্রণালয় সভায় নেওয়া হয়েছে এ সিদ্ধান্ত।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানায়, সভায় বর্তমান নিয়ম ও পদ্ধতিতে প্রাথমিক বৃত্তি প্রদান অব্যাহত থাকবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে এই বৃত্তি পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।বাংলা, ইংরেজি, বিজ্ঞান ও গণিত—এই চার বিষয়ে এক দিনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২ ঘণ্টায় শিক্ষার্থীদের ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। তবে সব শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। যারা স্কুলের বার্ষিক মূল্যায়নে ভালো করেছে, সেখান থেকে শীর্ষ ১০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে কেউ পরীক্ষা না দিতে চাইলেও তাকে বাধ্য করা হবে না। ইউনিয়ন-ভিত্তিক এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ছবি- সংগৃহীত২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালুর পর এর ভিত্তিতেই বৃত্তি দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু গত দুই বছর পিইসি পরীক্ষা হয়নি। সরকার ঘোষণা করেছে, এ দুই পরীক্ষা আর হবে না। ফলে বন্ধ ছিল প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি।প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা প্রতিটি উপজেলা সদরে অনুষ্ঠিত হবে।বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রের সংখ্যা জানাতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে অধিদপ্তর।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের সব ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ও পরীক্ষা কেন্দ্রের তথ্য ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঠাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ঝরে পড়া রোধ, মেধার বিকাশে ২০০৯ সালে প্রাথমিক সমাপনী এবং পরের বছর ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী চালু করে সরকার। এই দুটি পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে বৃত্তি প্রদান করা হতো। তবে চলতি বছর থেকে এই পরীক্ষা আবার শুরু হলো। শিক্ষা সমাপনী চালুর আগে শিক্ষার্থীদের পৃথক বৃত্তি পরীক্ষায় বসতে হতো।