চট্টগ্রাম প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতার মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে জাহাজ থেকে পণ্য উঠানো নামানোর জন্য এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানালেন, বন্দরের বাইরে স্বতন্ত্র এ টার্মিনাল চালু হলে বন্দরের সক্ষমতা বাড়বে ১৭ শতাংশ। কমবে বহির্নোঙরে জাহাজের অপেক্ষার সময়। গতি পাবে বন্দরের সামগ্রিক কার্যক্রম। এ পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরাও।
চট্টগ্রাম বন্দরের মূল জেটি থেকে ভাটির দিকে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় চিটাগাং ড্রাইডক ও বোট ক্লাবের মাঝে প্রায় ২৬ একর জায়গা জুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল। ২০১৭ সালে শুরু হয়ে ২০২২ সালের জুনে নির্মাণ শেষ হলেও অপারেটর নিয়োগ সহ নানা জটিলতায় এতদিন সম্পূর্ণ চালু করা যায়নি। তবে পরীক্ষামুলকভাবে বেশ কিছু জাহাজ ভিড়েছে এ টার্মিনালে।
গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এ টার্মিনালের উদ্বোধন করেন। সৌদিআরব ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রেড সি গেটওয়ে এই টার্মিনাল পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছে বন্দর কতৃপক্ষ। বন্দরের বাইরে এটিই একমাত্র স্বতন্ত্র টার্মিনাল যেখানে বছরে হ্যান্ডলিং করা যাবে ৫ লাখ টিইইউএস কন্টেইনার। ফলে বন্দরের সক্ষমতা বাড়বে ১৭ শতাংশ। এছাড়াও এই টার্মিনালে যুক্ত করা হচ্ছে আধুনিক সব যন্ত্রপাতি। এমনটায় জানালেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।
এ টার্মিনাল চালু হলে জাহাজের অপেক্ষার সময় যেমন কমবে তেমনি পণ্য উঠা নামায় গতি বাড়বে। ফলে বন্দরের সামগ্রিক কার্যক্রমে গতি আসবে বলে মনে করেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে ১১শ ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এ টার্মিনাল।