দেশে সাগর, পাহাড় আর ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের মত দর্শনীয় প্রাকৃতিক স্থান থাকার পরেও বিদেশমুখি হচ্ছেন দেশি পর্যটকরা। দেশের পাহাড় ও সমতলের দর্শনীয় স্থানগুলো পর্যটকবান্ধব ও আকর্ষণীয় না করা এবং নিরাপত্তাহীনতা এর বড় কারণ বলছেন পর্যটকরা। পর্যটনের বিকাশে নানা প্রকল্প নিলেও তার সুফল পাচ্ছে না জনগণ।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের কক্সবাজারে। একপাশে পাহাড়, অন্যপাশে বিশাল জলরাশির সাগরের পাড়জুড়ে বেলাভূমি।
আছে তিন পার্বত্য জেলার অপার প্রাকৃতিক রূপ-বৈচিত্র্য। যেখানে পাহাড়ের কোলে ঝর্ণাধারা আর মেঘমালা খেলা করে। সিলেটের জাফলং, রাতারগুল, চা বাগানও আকর্ষণ করে পর্যটকদের। ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের বড় অংশও বাংলাদেশের।
এমন সব নয়নাভিরাম দর্শণীয় স্থান ফেলে দেশি পর্যটকরা ছোটেন বিদেশে? মালদ্বীপ সরকারের তথ্য বলছে, ২০২১ সালে মাত্র ৩ হাজার ৯২৩জন বাংলাদেশি দেশটিতে ভ্রমণে গিয়েছেন, পরের বছর গেছেন ১৬ হাজার ৮০৭জন। সবশেষ ২০২৩ সালে সে সংখ্যা দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৩৩৬ জনে।
দেশের পর্যটকরা বলছেন, বিদেশেন্দর্শনীয় স্থানগুলো কেবল আকর্ষণীয়- তাই নয়, পর্যটক বান্ধব ও নিরাপদও। কিন্তু দেশের দর্শনীয় স্থান নিয়ে তাদের আছে নানা অস্বস্তি ও অভিযোগ।
কেবল দেশি পর্যটক নয়, বিদেশিদের আগ্রহ কময় এসব কারণে। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে দেশে বিদেশি পর্যটক আসে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৭৩০ জন। ২০২৩ সালে তা দাঁড়ায় ৬ লাখ ৫৫ হাজার।
বিশ্বে যেখানে পর্যটন খাতে জিডিপি বাড়ছে, বাংলাদেশে সেখানে কমছে। এ খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না হওয়ার কথা বলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন চেয়ারম্যান একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক। পর্যটন খাত নিয়ে মহাপরিকল্পনা করা হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।
Leave a Reply