ফাতেমাতুজ জহুরা মীম: ময়মনসিংহের চতুর্থ শ্রেণীর এক সরকারি কর্মচারীর জেলা শহরে রয়েছে তিনটি আলিশান বাড়ি। মিলেছে প্রচুর স্থাবর সম্পত্তির সন্ধান। স্থানীয়রা জানালেন, এক সময় ভাড়া বাড়িতে থাকা বাবু নামের ওই ব্যক্তি পিয়নের চাকরি পাওয়ার কয়েক বছরে মধ্যে এসব সম্পদের মালিক বনে যান। দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েই বাবু সম্পদের এমন পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে এলাকায়।
রইছ উদ্দিন শ্যামল ওরফে বাবু, যিনি ময়মনসিংহের গোয়াইলকান্দি এলাকার বাসিন্দা। বাবু চতুর্থ শ্রেণীর একজন সরকারী কর্মচারী। অথচ তার সম্পদের পরিমাণ ভিন্ন কথা বলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, ২০০৪ সালের আগে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন বাবু। কিন্তু পিয়ন পদে সরকারি চাকরি পাওয়ার পর কয়েক বছরের মধ্যে আঙ্গুল ফলে কলা গাছ হয়ে ওঠেন তিনি। এখন জেলা শহরে তার তিনটি আলিশান বাড়ি রয়েছে। দুইটি বাড়িতে দুই বউকে নিয়ে থাকেন। চলাফেরা করেন নিজস্ব গাড়িতে। রয়েছে প্রচুর জায়গা জমি। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হয়ে কিভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন তা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
বাবুর সম্বন্ধী নজরুল ইসলাম জানালেন, অসৎ পথে আয়েই এত সম্পদ গড়েছেন তিনি। তার সাথেও প্রতারণার অভিযোগ করেছেন। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাবু ও তার মা ডলি আক্তার।
বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানালেন ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রওশন আরা খান। রইছ উদ্দিন শ্যামল ওরফে বাবু বর্তমানে পদোন্নতি পেয়ে ময়মনসিংহ গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরী হাইস্কুলের উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন।
Leave a Reply