তানজিলা নিঝুম : বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক কেনায় ফ্রান্সের ক্রেতা প্রতিষ্ঠান কারিবান ও বায়িং হাউজ জেডএক্সওয়াই কোন শর্ত আরোপ করেনি। বরং ঋণপত্র বা এলসিতে লেনদেনে দুবাইয়ের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক যে শর্ত দিয়েছিলপ্রত্যাহার করে নিয়েছে বলে জানিয়েছে পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন,বিজিএমইএ। রাজনৈতিক কারণে গুজব ছাড়ানো থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান তারা।
বিশ্বজুড়ে শ্রম অধিকার সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নীতিতে নতুন করে আলোচনা যোগ হয়েছে বাংলাদেশেরতৈরি পোশাক রপ্তানি খাত। আমেরিকার বাণিজ্যিক নিষেধেজ্ঞা আসছে বলেও প্রচারণা চালানো হয়।
এরইমধ্যে খবর ছাড়ানো হয়-ফ্রান্সভিত্তিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান কারিবান বাংলাদেশের পোশাক কিনতেনতুন শর্ত আরোপ করেছে। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এমন কোনো দেশের সঙ্গে লেনদেন করা হবে না। নারায়নগঞ্জের নীট কনর্সান লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের২ লাখ ২৮ হাজার ডলারের ঋণপত্রে একটি বিদেশি ব্যাংকের চিঠিকে কেন্দ্র করে এমন প্রচারণা হয়।
পোশাক রপ্তানীকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ পক্ষ থেকে জানায়, শর্তটি কারিবান বা তাদের এজেন্ট প্রতিষ্ঠান জেডএক্সওয়াই ইন্টারন্যাশনাল থেকে দেয়া হয়নি। এটি দুবাইয়ের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক থেকে পাঠানো হয়েছে, যা তারা ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে করে আসছে।
বিজিএমইএ শক্তভাবে প্রতিবাদ করায় ওই ধারা তুলে নেয় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। অন্য কোন প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংক এমন শর্ত দিলে, ক্রয়াদেশ না নেয়ার পরামর্শ দেয় বিজিএমইএর পরিচালকমহিউদ্দিন রুবেল।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাকেনিষেধাজ্ঞা আরোপেরপ্রচারণাকে গুজব ভিত্তিহীন ও ভুল বলে জানায় বিজিএমইএ।