আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার প্রধান একটি হাসপাতালের চারপাশ ঘিরে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে আল-শিফা হাসপাতলটি কবরস্থানে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে পড়ে আছে শত শত মরদেহ। অবিরাম হামলা আর জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় গাজার উত্তরাঞ্চলের সব হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। বিনা চিকিৎসাতেই প্রাণ হারাচ্ছে আহত ফিলিস্তিনিরা।
হাসপাতালের ভিতরে ও বাইরে পড়ে আছে শত শত মৃতদেহ। ইসরাইলি বাহিনীর বিরামহীন হামলার কারণে মরদেহগুলো সরানো বা দাফনের সুযোগ পাচ্ছে না ফিলিস্তিনি জনগণ এবং আন্তর্জাতিক কোন সংস্থা। ফলে পচে গলে যাচ্ছে মরদেহগুলো। এমন অবস্থায় লাশের পাশেই দিন কাটাতে হচ্ছে হাসপাতালে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত ও আহত ফিলিস্তিনিদের। ভয়াবহ এ চিত্র গাজার আল-শিফা হাসপাতালের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজার এই হাসপাতলটি কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। চারিদিক থেকে অবরোধ করে চলছে ইসরাইলি বিমান হামলা। তার ওপর সেখানে নেই জ্বালানি, ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম। নির্বাচার হামলা ও জ্বালানির অভাবে গাজার উত্তরাঞ্চলের সবগুলো হাসপাতালের সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। বিনা চিকিৎসাতেই প্রাণ যাচ্ছে আহত ফিলিস্তিনিদের।
বুধবারের মধ্যে কোনও জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি না দিলে গাজার চিকিৎসা সেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। ইউনিসেফ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিশুরা। চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে নবজাতক শিশুদের বাঁচাতে ফয়েল পেপারে মুড়ে রাখা হচ্ছে। হামলায় এ পর্যন্ত গাজার ৭ লাখের বেশি শিশু বাস্তচ্যুত হয়েছে।
এদিকে, গাজা থেকে হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত হামলা বন্ধ হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, অবরুদ্ধ গাজার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে হামাস। তারা গাজার দক্ষিণাঞ্চলের দিকে পালাচ্ছে।
সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা কমিটি ট্যু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট-সিপিজে জানিয়েছে, গত ৭ই অক্টোবর গাজায় ইসরাইলের হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৪২ সাংবাদিক। স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় হতাহতের সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গত শনিবার পর্যন্ত গাজায় ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহতের কথা জানানো হয়েছে।
Leave a Reply