নিজস্ব প্রতিবেদক: অবরোধ ডেকে আবারও চোরগোপ্তা হামলা, বাসে আগুন ও ভাঙচুর করেছে বিএনপি জোটের কর্মীরা। রাজধানীর মেরাদিয়াতে চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা মেরেছে। এতে বাসের চালক, হেল্পার ও কয়েকজন যাত্রী আহত হয়। দগ্ধ বাস চালক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ফায়ার সার্ভিস বলেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ১২টি বাসে আগুন দিয়েছে অবরোধকারীরা। রাজধানীসহ সারা দেশে বাড়তি সতর্কতা ও টহলে রয়েছে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ।
বিএনপির ডাকা দ্বিতীয় দফা অবরোধের আগের রাত থেকেই সারাদেশে বাসে আগুন দিয়ে আতংক ছড়ায় অবরোধকারীরা।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রোববার সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে ১২টি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে রাজধানীতেই ৭টি বাসে আগুন দেয়া হয়।
রোববার সকালে রাজধানীর মেরাদিয়ায় একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা মারে অবরোধকারীরা। এতে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি পাশের খাদে পড়ে হেল্পারসহ আহত হয়েছে কয়েকজন যাত্রী। এ ঘটনায় দগ্ধ হয় গাড়ির চালককে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজধানীতে যানবাহন চলাচল প্রায় স্বাভাবিক। বা সিএনজি অটোরিকশাসহ চলছে সব গণপরিবহন। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা সড়কে অন্যদিনের মতই স্বাভাবিক। তবে আন্তজেলা বাস টার্মিনালগুলো প্রায় যাত্রী শূন্য। যাত্রী কম থাকায় দূরপাল্লার বাসও কম চলেছে।
চট্টগ্রামে অবরোধের পাশাপাশি চলছে মহানগর বিএনপির ডাকা হরতাল। চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড এলাকায় মহাসড়কে ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ী পোড়ানোর মামলায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
সিলেটে মহাসড়কের ইট ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বিএনপিকর্মীরা।
বগুড়ায় মহাসড়কে বিএনপিকর্মীরা অবরোধ ও কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। সংঘর্ষ হয় পুলিশের সাথে। অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়।
কিশোরগঞ্জেও অবরোধের মধ্যে চলছে আধাবেলা হরতাল। এসময় কয়েকটি ট্রাক ভাঙচুর করে বিএনপি কর্মীরা। পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
নাশকতা ঠেকাতে সারাদেশে সতর্ক অবস্থানে পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
Leave a Reply