লেখক – জাবির আহমেদ জিহাদ

সন্ত্রাসীদের আঘাধে আর বুলেটের বারুদের গন্ধে –

নির্ঘুম কেটে যায় রাত , জিঞ্জির জিঞ্জির মোরা শক্তিশালী!

চব্বিশের  জুলাই ভয়ানক এক  মৃত্যু উপতক্যা!

রক্ত স্নাত দেশটা জুড়ে ;কি আজব মায়া কান্না !

অপশক্তি অপশক্তি আর জল্লাদের উল্লাস!

আমি সালাউদ্দিন আইওবি, তেজোদ্দীপ্ত সূর্য সেন,মীর কাশেম আলী।

আমি নয়া বিশ্বের বীর বাঙালি

আমি বিশ্ব প্রলয়,আমি ধ্বংস,

আমি বুলবুল,আমি রেমাল, আমি সাইক্লোন,

আমি মহা প্লাবন!!!

আমি নিরস্ত্র, আমরা নিরস্ত্র

নম্র ভদ্র শান্ত শিষ্ট ছেলে।

কিন্তু আজ অধিকার আদায়ে

আমি  বিদ্রোহী-

আমরা মহাবীর।

দাবি আদায়ে হাজারো

বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছি, আরো দিবো!

কোটা সংস্কার আন্দোলনের

প্রথম শহীদ প্রিয় আবু সাইদ!

এক হাত ভাঙবে ওরা, অন্য হাতে অধিকার  ছিনিয়ে আনবো।

তবুও ভাঙলে শুয়ে শুয়ে লড়াই চলবেই চলবে,বানবো!!

শহীদ হবো ;থাকবে আমার হাজারো ভাই, লড়বে তারা তবুও অধিকার আনবো।

আমি এ আন্দোলনের  মহা নায়ক-

আবু সাঈদ, আসিফ, ফারুক আমি ওয়াসিম,   শাহজাহান আর ফয়সাল আহমেদ!

আমি মেঘের গর্জন।

আমি সমুদ্র, আমি ঝড়,বৃষ্টি, আমি খুব রাগী,

মুহুর্তেই গর্জে উঠি।

আবার মন ভালো শান্ত সদা

তবুও ধৈর্য ধরার চেষ্টা করি। কিন্তু বিবেকের বাধায় পারিনা।

আমি জালিম শাসকের অত্যাচারের

নব নব সৃষ্টি বিদ্রোহী কাব্য।

আমি অত্যাচারির শত্রু!

আমি ঘূর্ণিঝড় আর তুফানের  তাণ্ডব।

আমি পাষাণ মন আর নির্দয় পাথরের

অগ্নিগীরি লাভা!

আমি ঘাতকের তপ্ত বুলেটে মরে,

কিংবা ক্ষত হয়ে যায়

জন্মাবে নতুন মুখ, জন্মাবে নব।

আমি দশই মহররমের আশুরা,

কারবালার প্রান্তরের

হাজারো তরবারি আর

তীরের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত

প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর

দৌহিত্র ইমাম হোসাইনের অনুসারী।

আমি সংগ্রামের

অগ্র নায়ক, শহীদ কামরুজ্জামান,  বীরশ্রেষ্ঠ – নূর মোহাম্মদ, আমি আল্লামা সাঈদী, আমি মোস্তফা কামাল,আমি রুহুল আমিন, আমি হাফেজ রমজান আলী।

আমি আবরার ফাহাদ

আমি জন্মাবো নব  বারবার।

তোমার ঐ  অভিশপ্ত বুলেট জানে না

এ দাবির মমতা, মায়ায়

যাদের জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছে

আলিঙ্গন করেছে মৃত্যুকে

এদেশের  ১৮ কোটি মানুষের  গহীণে গহীণে

সত্ত্বার, দৃঢ় ঐক্যের ঝুংকার।

মায়া মমতা হৃদয়ে পুষ্প কাননে

অনন্তকাল অবিরাম সুবাস ছড়িয়ে যাবো।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের

কত শহীদ, জয়জয়কার!!

আমার ভাইয়ের বিচার দাবি, আমি চাই ;আমরা চাই!

বুলেটে নির্দয়, নিষ্ঠুরতম আঘাতে আঘাতে

জিম্মি করে, বন্দি করে এরপর, জন্মাবো রহ রহ।

ছাত্র জীবন উৎসর্গ করে শহীদ ভাই শহীদ

চিরকাল সুখের ঠিকানায়

মালিকে কবুল করলে রবে জান্নাতের ঠিকানাই।

নেই যেখানে কোনো  দু:খ, কষ্ট আর গ্লানি।

তৃষ্ণা, ক্ষুধা, চিন্তা, শোক

কখনো কোনো ঝুট থাকেনা!

নেই সেখানে কোন মুক্তিযোদ্ধ, নেই ভাষা আন্দোলন

শুধু আরাম আয়েস আর

ভালোবাসার মহা উৎসব!

সেখানে আমরা থাকবো  অনন্তকাল!!চিরকাল।

চিরস্থায়ী, চির সুখের সেই জান্নাত।