পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ছাড়া কোনো সরকার গঠন হবে না বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি ফয়সাল করিম কুন্দি।
তিনি বলেন, পিপিপি নেতৃত্ব মনে করেন যে বিলাওয়াল ভুট্টোর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়া উচিত, কারণ আমাদের ছাড়া কেউ সরকার গঠন করার মতো অবস্থানে নেই। পিএমএল-এন সমর্থিত প্রার্থীদের চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও সংখ্যাগত দিক থেকে এগিয়ে আছে, সরকার গঠনের মতো অবস্থানে কেউ নেই।
সোমবার জিও নিউজের একটি পোগ্রামে এসব মন্তব্য করেন পিপিপি সেক্রেটারি। তিনি মনে করেন বিলাওয়াল প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হলে পিপিপির বিরোধী পক্ষে বসা উচিত। তবে এটি যে একান্তই তার ব্যক্তিগত মতামত তা স্পষ্ট করেছেন ফয়সাল।
এসময় পিপিপি এই নেতা আরও বলেন, পিপিপি প্রধানমন্ত্রীর হিসেবে পিএমএল-এন প্রার্থীকে ভোট দেবে এবং বিরোধী পক্ষেও বসবে এমন সম্ভাবনাও রয়েছে।
ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বর্তমানে ৫৪টি আসন নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে পিপিপি। কেননা, এটি যে দলকে সমর্থন করবে সে দলই নতুন সরকার গঠনে প্রধানমন্ত্রী হাউজ পাওয়ার সক্ষমতা অর্জন করবে।
ফয়সাল করিম কুন্দি বলেন, গণতান্ত্রিক সরকারে পুনর্নির্বাচন হতে পারে, তবে এটি আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ। অতীতেও ১৬ মাসের ভালো অভিজ্ঞতা হয়নি। যদি পিডিএম পার্টি আবার আসে তবে আমি মনে করি না এটি ভালোভাবে চলবে এবং দলের লোকজনেরও এই বিষয়ে উদ্বেগ রয়েছে। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে বিলাওয়াল প্রধানমন্ত্রী না হলে বিরোধী দলে বসাই ভালো।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি ও নওয়াজের দলের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জোট সরকার গঠনে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার ইসলামাবাদে জরুরি বৈঠক ডেকেছে পিপিপি। সেখানেই জোট গঠনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পিপিপির একটি সূত্র জানিয়েছে, এর আগের জোট সরকারের মতো নওয়াজের দল এবারো প্রধানমন্ত্রীর পদটি নিজেদের কাছে রাখতে চায়। বিনিময়ে পিপিপিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট, জাতীয় পরিষদের স্পিকার ও সিনেটের চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে দলটি। বিষয়টি নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি পিপিপি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, পিপিপি হয়তো এই শর্তেই রাজি হয়ে যাবে।