পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের পর এবার বিপদে পড়তে যাচ্ছেন স্ত্রী বুশরা বিবি। এমনকি তাকে যে কোনো সময় গ্রেফতার করা হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
দ্য নিউজ এক প্রতিবেদনে শনিবার (১১ নভেম্বর) এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) বুশরা বিবির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কিছু প্রমাণ যাচাই করছে। যদি তারা নিশ্চিত হয় তাহলে বুশরা বিবি সাক্ষীর তালিকা থেকে অভিযুক্তর তালিকায় আসবেন।
সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, এনএবি বেশ কিছু নতুন প্রমাণ পেয়েছে, তারা এসব ক্রসচেক করছে। এ থেকে তারা নিশ্চিত হলে বুশরা বিবিকে গ্রেফতার করা হতে পারে। বুশরা বিবির বিরুদ্ধে কিছু আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এমন প্রেক্ষাপটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বানি গালার বাসভবনের প্রাক্তন ইনচার্জ সৈয়দ ইনামুল্লাহ শাহ শনিবার বলেছেন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধানের স্ত্রী বুশরা বিবি আগামী দিনে তার পাশে থাকবেন কিনা তা তিনি নিশ্চিত নন। কারণ তারা এখন চরম আইনি লড়াইয়ের মুখোমুখি।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরানের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে পিটিআই প্রধান এবং তার স্ত্রী- উভয়ই একাধিক মামলার মুখোমুখি হয়েছেন; যা অবশেষে ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা ইমরান খানকে কারাগার পর্যন্ত নিয়ে গেছে।
জিও নিউজের টক শো ‘জিরগা’-তে সৈয়দ ইনামুল্লাহ শাহ দাবি করেছেন, তিনি ইমরানের স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং বেশ কয়েকটি ব্যক্তিগত বিষয় তত্ত্বাবধান করেন।
শো চলাকালীন হোস্ট সেলিম সাফি তাকে (শাহ) জিজ্ঞেস করেন, বুশরার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হওয়ার কারণে তিনি কি মনে করেন, চলমান সংকটের মধ্যে ইমরানের স্ত্রী তার পাশে দাঁড়াবেন।
‘আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন না; যখন এটি তার (বুশরা) ক্ষেত্রে ঘটবে।’ তিনি আরও যোগ করেন যে, ‘তিনি (বুশরা) তার (ইমরান) সাথে থাকবেন কি না, আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি না।’
সৈয়দ ইনামুল্লাহ বলেন, ‘আমরা এটি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি না- কারণ এমন অনেক লোক ছিল যাদের সম্পর্কে আমরা ভেবেছিলাম যে খান সাহেবের পাশে দাঁড়াবে, এর মধ্যে বেশ কয়েকজন দলীয় প্রভাবশালী নেতাও রয়েছেন।’
অনুষ্ঠানের উপস্থাপক বলেন, কিন্তু তারা ছিলেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। জবাবে শাহ উল্লেখ করেন যে, এটি কেবল রাজনীতিবিদই নয়, ইমরানের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাও তার পাশে দাঁড়াননি।
এ সময় উপস্থাপক শাহকে জিজ্ঞাসা করেন যে, ইমরান অন্ধভাবে বুশরার নির্দেশ অনুসরণ করার পেছনে কারণ কী ছিল?
‘আমি মনে করি, এটি আধ্যাত্মিক কিছু ছিল। খান সাহেব এমন ব্যক্তি নন। কিন্তু তিনি তার নির্দেশনা এমনভাবে অনুসরণ করেছিলেন যে, তিনি যাই বলুন না কেন, খান সাহেব রাজি হন,’ বলেন সৈয়দ ইনামুল্লাহ শাহ।
Leave a Reply