1. admin@khoj24bd.com : admin :
  2. genuinebd.71@gmail.com : admin admin : admin admin
  3. tishibly@gmail.com : gungun gungun : gungun gungun
  4. somankhan92@gmail.com : golam mohiuddin : golam mohiuddin
  5. sakilsangdik@gmail.com : Sakil Faruki : Sakil Faruki
‘ভারতীয় টাইটানিক’ ডুবির হারিয়ে যাওয়া কাহিনি - www.khojbd24.com
রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০৮:১৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
তরুন ও চৌকস পুলিশ কর্মকর্তার সাহসিকতায় ছিনতাইকারী আটক কালীগঞ্জে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন আগামী নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: ড. ইউনূস বাংলাদেশ প্রেসক্লাব শ্রীপুর উপজেলা শাখার ৩১সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা, সভাপতি মোঃ বাবুল মিয়া সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহাগ রানা। ক্রীড়াই শক্তি..! ক্রীড়াই বল হ্যাপি নিউ ইয়ার উপলক্ষ্যে নাইট ফুটবল ফাইনাল ম্যাচ -২০২৪। সিজন-২। স্থানঃ নরসিংদী রায়পুরা উপজেলা ঐতিহ্যবাহী শ্রীরামপুর গরু বাজার মাঠ। জাতীয় সমাজসেবা দিবস-এ ‘’ফ্রেন্ডশিপ’’ পেলো জেলা পর্যায়ে মর্যাদাপূর্ণ ‘মানবকল্যাণ বিষয়ক এ্যাওয়ার্ড’ নোয়াখালীর সেনবাগে ঢিলেঢালা ভাবে জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত  নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ যুব ও উদ্যোক্তা সমাবেশ এবং বর্ণাঢ্য র‌্যালী অনুষ্ঠিত বিপুল উৎসাহে গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাইউল উদ্দিন খানের জন্মদিন পালিত। বিদায়ী বছরের আলোচনায় ছিল যেসব সংলাপ

‘ভারতীয় টাইটানিক’ ডুবির হারিয়ে যাওয়া কাহিনি

  • Update Time : সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • ১৭ Time View

আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজের কথা সারা পৃথিবীর বহু মানুষই জানে, কিন্তু যাত্রীবাহী ভারতীয় জাহাজ এসএস তিলাওয়া, যা পরিচিতি পেয়েছিল ‘ভারতীয় টাইটানিক’ নামে তার ডুবে যাওয়ার মর্মান্তিক কাহিনি ইতিহাসের পাতা থেকে একরকম হারিয়েই গেছে।

সাড়ে নয়শ’র ওপর যাত্রী ও ক্রু নিয়ে ভারত মহাসাগরে ডুবে যাওয়া সমুদ্রগামী এই স্টিম শিপটি জাহাজ দুর্ঘটনায় একই ধরনের ভয়াবহতার কারণে পরিচিতি পেয়েছিল ‘ভারতীয় টাইটানিক’ নামে।

১৯৪২ সালের ২৩ নভেম্বর। তখন চলছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের তাণ্ডব। এস এস তিলাওয়া যাত্রী ও ক্রু নিয়ে রওনা দেয় ভারতের মুম্বাই থেকে পূর্ব আফ্রিকার পথে এবং যাত্রাপথে ভয়াবহ এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়ে তার সলিল সমাধি ঘটে।

ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনা থেকে যারা প্রাণে বেঁচে যান তাদের মধ্যে বর্তমানে জীবিত আছেন মাত্র দুজন। তাদের একজন অরবিন্দ জানির বয়স এখন ৮৩ ছাড়িয়ে গেলেও সেই রাতের কথা তার স্পষ্ট মনে আছে।

বর্তমানে ব্রিটেনের বাসিন্দা অরবিন্দ জানি বিবিসিকে বলেন, সেটা ছিল পুর্ণিমার রাত। হঠাৎ দেখলাম জাহাজটা ডুবে যাচ্ছে। অনেকের মৃতদেহ সাগরে ভাসছে। জাহাজ থেকে তারা পড়ে গেছে সাগরের জলে। জ্যোৎস্নার আলোয় মৃতদেহগুলো দেখা যাচ্ছে- তাদের চারপাশ ঘিরে ভাসছে পোশাক আশাক আর অন্যান্য জিনিসপত্র।

ওই জাহাজডুবি কেড়ে নিয়েছিল বহু মানুষের প্রাণ। বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল শত শত পরিবার।

অরবিন্দের বাবা থাকতেন কর্মসূত্রে আফ্রিকায়। তার বয়স তখন সাড়ে তিন। তিনি থাকতেন মায়ের সঙ্গে ভারতের গুজরাটে তাদের গ্রামে।

জাহাজের অন্য যে যাত্রী আজও জীবিত তিনি হলেন বর্তমানে আমেরিকার বাসিন্দা তেজ প্রকাশ মাঙ্গাত।

তিনি বলেন, প্রতি চার বছর অন্তর অন্তর আমরা সেখানে বেড়াতে যেতাম। আমি, আমার ভাইয়েরা আর আমার বাবামা। ওই ঘটনার সময় আমার সবচেয়ে ছোট ভাইয়ের বয়স ছিল ৭, অন্য দু ভাই ১২ আর ১৪। আমার বয়স ছিল নয়।

এস এস তিলাওয়া ২৩ নভেম্বরের রাতে ভারত মহাসাগরের নিস্তরঙ্গ শান্ত জলরাশির মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল তার গন্তব্যে। শান্ত সিগ্ধ রাতের আকাশ ছিল পূর্ণিমার জ্যোৎস্নায় ভরা। পূর্ণ চাঁদের আলোয় সমুদ্রের জল চিকচিক করছিল। কাছেই ছিল সেশেলস দ্বীপের উপকূল। দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় হাজারখানেক মাইল দক্ষিণ পশ্চিমে।

শিশু অরবিন্দ ছিলেন মায়ের সঙ্গে নিচের ডেকে।

সে সময়ের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, রাতের বেলা মা হঠাৎ শুনলেন বোমা ফাটার মত একটা বিকট আওয়াজ। বিস্ফোরণে জাহাজটা বিচ্ছিরিরকম ফেটে গিয়ে ধীরে ধীরে ডুবতে শুরু করল।

জাপানি সাবমেরিন থেকে ছোড়া একটা টর্পিডো জাহাজটিতে আঘাত করেছিল। বিশ্বযুদ্ধের তাণ্ডব যখন চলছে, তখন জাপানি ডুবোজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হচ্ছিল বিভিন্ন সমুদ্রপথে। কিন্তু এস এস তিলাওয়া কোন রণতরী ছিল না, ছিল যাত্রীবাহী জাহাজ।

অরবিন্দের মা তখন পাগলের মত জীবন রক্ষাকারী লাইফ বোট খুঁজছেন। অরবিন্দর এখনও সেই দৃশ্য মনে আছে।

তার কথায়, মা কোন জিনিসপত্র নেননি। শুধু একটা শাল দিয়ে আমাকে শক্ত করে বেঁধে নিয়েছেন নিজের পিঠে। যাতে তার হাত দুটো খোলা থাকে। এরপর দড়ি বেয়ে আমাকে নিয়ে নিচে নেমে লাইফ বোটে ওঠেন তিনি। নৌকায় ওরা সবাইকে বিস্কুট আর পানি দিচ্ছিল।

তিনি পরে জেনেছিলেন ওরা এক একটা নৌকায় ১৫ থেকে বিশ জনকে উঠতে দিচ্ছিল।

ওদিকে, সেসময় কিশোরী তেজ তখনও জাহাজের ভিতর।

আমি শুনলাম বাবা আমার নাম ধরে ডাকছেন। আমি দেখলাম আমার চারপাশে জল উঠছে, আমি ডুবে যাচ্ছি। বাবা বললেন আমার হাত ধরো। তিনি আমাকে টেনে তুললেন- আমাকে লাইফ বোটে তুলে দিয়ে তিনি ফিরে গেলেন জাহাজে- বললেন ভাইদের খুঁজতে যাচ্ছেন। বললেন – শিগগির ফিরে আসবেন।

বাবা তাকে লাইফ বোটে তুলে দেওয়ার পর নৌকার রশি খুলে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হল, বিবিসিকে বলেন তেজ প্রকাশ মাঙ্গাত।

দেখলাম মানুষজন পরিত্রাহি চিৎকার করছে, কাঁদছে। আমি মুখ তুলে জাহাজের দিকে তাকালাম দেখতে বাবা ফিরেছেন কিনা। সেদিন পূর্ণিমা ছিল। হঠাৎ শুনলাম বিশাল একটা বিস্ফোরণের আওয়াজ।

সেটা ছিল দ্বিতীয় টর্পিডোর আঘাত। দেখলাম কালো ধোঁয়া উঠছে। এরপর জাহাজটা ডুবে গেল।

তেজ বলছিলেন তিনি তখন লাইফ বোটে- জাহাজ থেকে কিছুটা দূরে- কিন্তু তার বাবা আর ভাইরা তখনও জাহাজে। লাইফ বোট ছাড়ার আগে তিনি দেখেছিলেন বাবাকে একা। তার ধারণা ভাইদের তিনি আর ভেতরে খুঁজে পাননি, তাই একাই ফিরে এসেছিলেন।

তিনি জাহাজের রেলিং ধরে দাঁড়িয়েছিলেন। হয়ত ভাবছিলেন ঝাঁপ দেবেন, কিন্তু দেননি। কিন্তু দ্বিতীয় টর্পিডো আঘাত হানার পর তিনি ভেঙে পড়া জাহাজের সাথে তলিয়ে গেলেন। নিশ্চয়ই তিনি ডুবতে ডুবতে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছিলেন- আমাকে বাঁচাও!

তেজ পরে বাবার মুখে শুনেছিলেন, কিছুক্ষণ পর হঠাৎ করেই তিনি ভেসে ওঠেন। সাঁতরাতে শুরু করেন আর একটা ভেলার মত কিছু পেয়ে তা আঁকড়ে ধরে ভাসতে থাকেন। এভাবে তিনি নিজের প্রাণ বাঁচান।

সেসময় তেজ ভাসছিলেন একটা লাইফ বোটে। বিশাল ভারত মহাসাগরের বুকে ছোট একটা সমুদ্র এলাকায় তাদের লাইফ বোট ভেসে বেড়িয়েছিল পুরো একটা দিন।

অবশেষে ব্রিটিশ একটি রণতরী উদ্ধার করে অরবিন্দ আর তেজকে।

তিলাওয়া ১৯৪২ নামে একটি আন্দোলন গোষ্ঠীর তথ্য অনুযায়ী ৬৭৮জন প্রাণে বেঁচে যান, মারা যান ২৮০জন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 www.khoj24bd.com bangla News web portal.
Theme Customized By BreakingNews