এম বাদল খন্দকার ( ষ্টাফ রিপোর্টায়) ব্রাক্ষনবাড়ীয়া।
মামলায় মোকতাদির চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ২৬ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল (৩৮), সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন শোভন (৩৫), পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (৫৬), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি হাসান সারোয়ার (৪০), জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি লোকমান হোসেন (৪৫), জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন (৪০), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহ (৩৭), সাবেক মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী আবু মুছা আনছারী (৪৮), সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম (৪৫), জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম সাইদুজ্জামান আরিফ (৪৫), পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মঞ্জুর মাওলা ফারানী (২৫), সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন (৬০), সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম (৪২), সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন (৩৮), সৈনিক লীগ নেতা জেপি জুম্মান মিয়া (৩৯), মেড্ডা এলাকার জাকির মিয়া (৩৪), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোমিন মিয়া (৩৪), হামদু মিয়া (৫৫), এমরান হোসেন মাসুদ (৩৮), আপন মিয়া (৩৫), আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান বাবুল (৫৫), জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিশাত সুলতানা (৪০), আরিফুল ইসলাম ও ভাটপাড়া গ্রামের অন্তর খান।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে নিহত মাদরাসাছাত্র হোছাইন আহম্মদের বড় বোন তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে ২০২১ সালে ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদরাসার ছাত্ররা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভে মাদরাসাছাত্রসহ ১৬ জন নিহত হন। ২৭ মার্চ শহরের টিএ রোডে মাহমুদ শাহ মাজার গেট এলাকায় নিহত হন জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার ছাত্র মাওলানা হোছাইন আহম্মেদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সূত্র : জাগো নিউজ