নরসিংদী সংবাদদাতা: নরসিংদীর রায়পুরায় মেঘনা নদী থেকে অবাধে বালু তোলায় আশপাশের চরগুলোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে বিলীন হয়েছে ফসলের মাঠ, বহু বাড়িঘর ও স্থাপনা। অনুমোদিত বালুমহাল ছাড়াও নদীর অন্য জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ইজারা শর্ত ভেঙে বালু তোলা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নরসিংদীর রায়পুরার মেঘনা নদীর চিত্র এটি। চুম্বুক ড্রেজার দিয়ে নির্বিচারে বালু তুলে নিচ্ছে শতাধিক বাল্কহেড। অবাধে বালু তোলায় আব্দুল্লাহর চর, সাহেরখোলা, ছাটাবন্দ, মাঝেরচর ও সুলতানপুরে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
নদীতে বিলীন হয়ে গেছে ফসলি জমি, শত শত বাড়িঘর ও স্থাপনা। অবৈধভাবে বালু তোলায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
চলতি বছর রায়পুরার কাৎলারচর বালুমহালের ইজারা পায় মেসার্স হাজী আশরাফ হোসেন সরকার ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান। তবে তারা নদীর বেশ কয়েকটি স্থান থেকে ড্রেজার দিয়ে তুলছেন। যদিও ইজারাদার দাবি করেছেন, কার্যাদেশে মেনেই বালু তোলা হচ্ছে।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম ।
মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে রায়পুরাকে রক্ষায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি স্থানীয়দের।
Leave a Reply