ইউক্রেনে যুদ্ধ চলা অবস্থায় রাশিয়ার কাছে অস্ত্র বিক্রি করলে চড়া ‘মূল্য’ দিতে হবে বলে উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে সম্ভাব্য অস্ত্র চুক্তির বিষয়টি আলোচনায় আসার পরদিনই এমন হুঁশিয়ারি এলো।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভ্যান মঙ্গলবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে এ বিষয়ে রাশিয়া-উ. কোরিয়ার আলোচনা সক্রিয়ভাবেই এগোচ্ছে।
হোয়াইট হাউজের এই শীর্ষ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেছেন, একটি আধুনিক সার্বভৌম রাষ্ট্রের অঞ্চল জয় করার চেষ্টা, শস্যের গুদাম এবং প্রধান শহরে হামলা, যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারে রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করা একদমই ঠিক হবে না। বিষয়টি উ. কোরিয়ার জন্য ভালোভাবে দেখা হবে না। এর জন্য তাদের মূল্য দিতে হবে।
এমন সতর্কবার্তার আগের দিন সোমবার বাইডেন প্রশাসনের আরেকজন কর্মকর্তা বলেছিলেন, ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনার জন্য রাশিয়ায় সফরের পরিকল্পনা করছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন।
এরপরই একাধিক মার্কিন সাংবাদমাধ্যমে জানা গেছে, কিম শিগগিরই সামরিক ট্রেনে চড়ে গোপনে দেশটিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তাদের মধ্যে অস্ত্র নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের দাবিটি অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন। আলোচনার বিষয়ে তাদের কোনও বক্তব্য নেই বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
গত জুলাইয়ে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুসহ অন্যান্য কর্তাদের উত্তর কোরিয়ায় সফর সন্দেহের বড় একটা কারণ।
সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, কিম ও পুতিনের বৈঠকটি রাশিয়ার পূর্ব উপকূলের বন্দর শহর ভ্লাদিভোস্টকে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কূটনৈতিক সংবাদদাতা এডওয়ার্ড ওং বিবিসি নিউজকে বলেছেন, কিমের সফরকে সামনে রেখে উ. কোরিয়ার কর্তাদের একটি দল গত মাসের শেষ দিকে ভ্লাদিভোস্টক ও মস্কোয় যান।
Leave a Reply