রোহিঙ্গারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের আস্তানা হয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (২৬ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের অবস্থান বিষয়ক এক সেমিনারে হাছান মাহমুদ এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে আমার গ্রামের বাড়ি। কিন্তু সেখানেও রোহিঙ্গারা চলে এসেছে।
মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে বাঙালিরাই এখন সংখ্যালঘু হয়ে গেছে! পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে, অপরাধ বাড়ছে। ক্যাম্পগুলো মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের আস্তানা হয়ে যাচ্ছে। এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য সমস্যা না, সারা বিশ্বের জন্য সমস্যা।
বিভিন্ন ঝুঁকির মধ্যেই বাংলাদেশ দুই মিলিয়ন রোহিঙ্গার দ্বায়িত্ব নিয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর কোনো আন্তর্জাতিক চাপ নেই। তবে চীন ও ভারত চেষ্টা করছে।
মিয়ানমারের জান্তা সরকার দায়িত্বশীলের মতো কাজ করছে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, কয়েকজন করে রোহিঙ্গা দেশে নিয়ে যাওয়া কোনো সমাধান নয়।
বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার চায় জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে সরকার। সেখানে বেশ খানিকটা অগ্রগতিও হয়েছে। সরকার মনে করে, এই মানবিক সমস্যার সমাধান খুবই জরুরি।
বিএনপিও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে নীরব বলেও উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, অথচ বিদেশিদের কাছে প্রায়ই যায় বিএনপি।
এ সময় গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, গণমাধ্যমকর্মীরা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে অনেক তথ্য তুলে আনছে।
ব্রিকসের সদস্যপদ না পাওয়ার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ব্রিকসে নেয়া হয়েছে। সদস্যপদ না হওয়া কোনো বিষয় না। ব্রিকসে আমন্ত্রিত দেশগুলোকে পর্যায়ক্রমে সদস্যপদ দেয়া হবে। পুরো পৃথিবীতেই আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই বলেও উল্লেখ করেন ড. হাছান মাহমুদ।