ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে অনুন্নত বাংলাদেশ আজ ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত সমৃদ্ধশালী। তাই দেশবাসীর কাছে শেখ হাসিনা জনপ্রিয় নেত্রী, জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ জনপ্রিয় দল।
বুধবার সকালে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্টেডিয়াম মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এমপি শাওন আরও বলেন, শেখ হাসিনা যখনই রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে, দেশের উন্নয়ন হয়, মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন হয়। তার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেলের মতো মেগা প্রকল্প আজ দৃশ্যমান। তাই দেশ ও জনগণের স্বার্থে শেখ হাসিনা কে আবারও রাষ্ট্র ক্ষমতায় রাখতে হবে।
এদিন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নিজেদের অভিব্যক্তি তুলে ধরেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ দেবনাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামান, সিভিল সার্জন মো. শফিকুজ্জামান, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন দুলালসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে ছিল গানের আয়োজন। শিল্পী তামান্না, জয়া, বাঁধনসহ স্থানীয় শিল্পীদের সঙ্গে গলায় সুর মেলান এই সব মানুষ।
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর ও জমি পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো আছেন উপজেলার এক সময়ের অভিশপ্ত ভূমিহীনরা। বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, শিক্ষাভাতা, মুক্তিযোদ্ধাভাতা, মা ও শিশু ভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি, ভিজিডি, ভিজিএফসহ এমন নানা সুবিধাভোগী রয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।
সুবিধাভোগীদের মধ্যে বক্তব্য দেন- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, এমপিওভুক্ত হোসনেয়ারা চৌধুরী মহিলা কলেজের ইংরেজি প্রভাষক মো সুমন, চাঁদপুর আলিম মাদরাসার শিক্ষক আব্দুল জলিলসহ ১০-১২ জন। তারা সরকারের সুবিধা নিয়ে ভালো ভাবে সংসার চালানোর কথা উল্লেখ করেন।
চর জহির উদ্দিন থেকে আসা ৭৫ বয়সী রফিউদ্দিন, শম্ভুপুর গ্রাম থেকে আসা ৯০ বছর বয়সী আব্দুল মান্নান জানান, তারা ঘর পেয়ে ভালো আছেন। সুখে আছেন।
একই কথা জানান সত্তরোর্ধ সালমা বিবি। নিজের এক সময়ের দুঃখ ও দুঃসময়ের কথা বলতে আবেগ তাড়িত হন। কৃতজ্ঞতা জানান শেখের মেয়ে (বঙ্গবন্ধুর কন্যা) শেখ হাসিনাকে।
আয়োজক সূত্র জানায়, ভোলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা ২৩৪ জন, মা ও শিশু ভাতা ৯৭ জন, ভান্ডারেবল উইমেন বেনিফিট ভাতা ৪ হাজার ৬৭৪, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা ৬ হাজার ৬৬৯ জন, বয়স্ক ভাতা ১৭ হাজার ৩৮৮ জন, বিধবাভাতা ১৫ হাজার ৮৮ জন, প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি ১২৫ জন, বেদে শিক্ষা উপবৃত্তি ১৪৯ জন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর বিশেষ ভাতা ২৮৪, অনগ্রসর শিক্ষা উপবৃত্তি ৫২, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি ভাতা ১৮ হাজার ২ জন, ফেয়ার প্রাইস কার্ড ১৮ হাজার ৬৭ জন, ঈদ ভিজিএফ ২০ হাজার ৩৪০ জনসহ জেলার লক্ষাধিক মানুষ সরকারের নানা সুবিধা পাচ্ছেন।
Leave a Reply