নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার (পহেলা জানুয়ারি) বিকেল তিনটার দিকে ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় অন্য আসমিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। তাদেরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এছাড়া, ড. ইউনূসকে আলাদা দু’টি ধারায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রামীণ টেলিকমের সব শ্রমিকের পাওনা ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে বলেছে আদালত।
সাজার রায় ঘোষণার পর আদালত আপিল করার জন্য আসামিদের একমাসের জামিনও দিয়েছে। রায় ঘোষণার সময় ডক্টর ইউনূস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, লভ্যাংশ না দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ডক্টর ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেছিলেন।
মামলায় গত ৬ই জুন ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন ড. ইউনূস ও অন্যরা। আপিল বিভাগ গত ২০শে আগস্ট সেই আবেদন চূড়ান্তভাবে খারিজ করে দেন।
শ্রম আদালতে এরপর ২২শে আগস্ট এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ই নভেম্বর। এতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের চারজন কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেন।
মামলায় অভিযোগ আনা হয় যে, শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বাৎসরিক ছুটি দেয়া, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেয়া হয়নি।
মামলায় আরও অভিযোগ আনা হয়, গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেয়া হয় না।
Leave a Reply