কক্সবাজার সংবাদদাতা : বিধিনিষেধ না মেনে সাগরে নামার কারণে কক্সবাজারের সৈকতে প্রাণহানি ঠেকানো যাচ্ছে না। গত ৭ বছরে কক্সবাজারের সৈকতে গোসল করতে নেমে মারা গেছে হয়েছে ৪৮ জন পর্যটক। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্যটকরা সৈকতে লাগানো লাল এবং লাল-হলুদ পতাকার সংকেত সম্পর্কে জানে না। এছাড়া অনেকে লাইফ গার্ড সদস্যদের সতর্কবার্তা না মানায় দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের উত্তাল ঢেউয়ের গর্জন প্রতিনিয়ত টানে ভ্রমণপিপাসুদের। তাই সুযোগ পেলেই পর্যটকরা ছুটে যায় নীল জলরাশির কাছে। তবে, সাগরে নামতে সতর্কবাণী মানতে চান না বেশিরভাগ পর্যটক। এতে অনেকে পড়ে যায় সৈকতের গুপ্তখালে বা চোরাবালিতে। স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য মতে, গত ৭ বছরে সমুদ্রে গোসল করতে নেমে মৃত্যু হয়েছে ৪৮জন পর্যটকের, উদ্ধার করা হয়েছে ৫‘শ ৮২ জনকে।
সৈকতের লাবনী পয়েন্ট, সুগন্ধা, সীগাল, শৈবাল ও কলাতলি পয়েন্টে বহু গুপ্তখালের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গুপ্তখালের আশপাশে ওড়ানো হয় সংকেতবাহী লাল ও লাল-হলুদ পতাকা। কিন্তু এসব রঙের পতাকার অর্থই জানেন না পর্যটকরা।
গুপ্তখালে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় স্বাভাবিকভাবে এর অস্তিত্ব বোঝা যায় না। আবার অনেক পর্যটক সাগরে নামার ক্ষেত্রে লাইফ গার্ড সদস্যদের সতর্কবার্তাও মানেন না।
সৈকতে সি নেটিংয়ের মাধ্যমে নিরাপদ ‘সুইমিং জোন’ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানালেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন।
বেসরকারি লাইফ গার্ড সি সেইফ প্রতিষ্ঠানের ২৭ জন এবং জেলা প্রশাসনের ৩৭ জন কর্মী কক্সবাজার সৈকতের ৫ কিলোমিটার এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
Leave a Reply