ডেস্ক প্রতিবেদন : ছাত্র আন্দোলনের মুখে গতকাল শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। থানা, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাসভবনে হামলা হয়। লালমনিরহাট, নাটোর ও চাঁদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনের মুখে গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর দেশজুড়ে আনন্দ মিছিল হয়।
একই দিনে বিভিন্ন স্থানে প্রতিষ্ঠান ও বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। লালমনিরহাট শহরে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন খানের বাড়িতে গতকাল বিকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। রাতে ঐ বাড়ির চতুর্থ তলার একটি কক্ষ থেকে থেকে ৬ জনের দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানায় হামলা চালালে এক পুলিশসহ ২ জন নিহত হয়। এছাড়া, সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে।
নাটোরে আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শিমুলের বাসভবন জান্নাতি প্যালেসে সোমবার বিক্ষুব্ধ জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়। মঙ্গলবার সকালে পুড়ে যাওয়া বাড়ি থেকে দগ্ধ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর হলে এসপি ছায়েদুল হাসানসহ ৫৫ জন ভেতরে আটকা পড়ে। এসময় তারা গুলি ছুড়লে আহত হয় ৪ জন। আগুন দেয়া হয় জেলা পরিষদ ভবনেও। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানাতেও হামলা চালানো হয়। এছাড়া, নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে চলে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ। সংবাদ সংগ্রহের সময় দুই সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হন।
ঝালকাঠিতে সোমবার বিকেলে বিক্ষুব্ধ জনতা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আমির হোসেন আমুর বাসভবনে ভাঙচুর চালায় ও আগুন লাগিয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা আগুন নেভাতে গিয়ে বিদেশি মুদ্রাসহ বিপুল পরিমাণ টাকা দেখতে পায়। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকা উদ্ধার করে। এছাড়া, দেশের আরও কিছু স্থানে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।