তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিরোধ ও প্রতিশোধের কথা বলছে। তার মানে তারা সহিংসতা করবে। মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট নিয়েছে। প্রতিশোধের শেষ কোথায় তা আমাদের জানা নেই।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে সেতু ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করবে। তবে হামলা হলে পাল্টা হামলা হবে। আগেও বিএনপির সমালচনার জবাব উন্নয়ন দিয়ে দেয়া হয়েছে। ওইদিন বিএনপির সমালচনার জবাব উন্নয়ন দিয়ে দেয়া হবে।
বিএনপিকে কোন উস্কানি দেয়া হবে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করবে। এর আগে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করেছে। বিএনপিও করেছে। তাদের উপর কখনো হামলা করা হয়নি। এখন ২৮ তারিখ যদি গায়ে পড়ে হামলা করতে আসে, তখন আমাদের কর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না। পাল্টা হামলা হবে। তাদের উপর কোন উস্কানি দেয়া হবে না।
নির্বাচন নিয়ে বিদেশি চাপ নেই বলেও জানান ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা। বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিদেশি চাপ কেনো থাকবে। আমাদের ভোট আমরা করবে। তারা পর্যবেক্ষক হিসেব দেখতে পারে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাইলে তারা চাপ দিবে কেনো?
২৮ অক্টোবর জনমনে যে আতঙ্ক আছে তা কেটে যাবে বলেও সাংবাদিকদের জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বিএনপিকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আলোচনার জন্য নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানালেও দলটি কোনো সাড়া দেয়নি।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যশোরের ৬টি আসনেই বেড়ে গেছে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তোড়জোড়। নৌকার মাঝি হতে মাঠে প্রচারণা শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের তিন ডজনেরও বেশি নেতা। নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কথা বলে আন্দোলনের মধ্যে থাকলেও ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ২০ নেতা। এর বাইরে দৌড়-ঝাঁপে পিছিয়ে নেই অন্যান্য দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন রিয়াজ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আরও দুটি ভেন্যুর নাম কোথায় দেব তা কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। আজকেই তাদের (পুলিশ) চিঠির জবাব দেয়া হবে।’
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের করার জন্য অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করে আওয়ামী লীগ।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সমাবেশের অনুমতির আবেদনের জবাবে পাল্টা চিঠি দেয় পুলিশ। চিঠিতে লোক সমাগমের সময়, সংখ্যা, বিস্তৃতিসহ বিভিন্ন তথ্য চেয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি জননিরাপত্তাজনিত কারণে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের অনুমতি দেয়া না গেলে কোথায় হতে পারে এমন বিকল্প দুটি ভ্যানুর নাম চাওয়া হয়।
জানা গেছে, আগামী ২৮ অক্টোবর বিকেলে ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের দিন বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করতে চায় আওয়ামী লীগ। বিএনপির চেয়েও বড় জমায়েত করতে চায় ক্ষমতাসীন দলটি। ওইদিন শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের অনুমতি এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য ডিএমপি কমিশনার বরাবর চিঠি দেয় মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
চিঠিতে বলা হয়, সমাবেশে মুক্তাঙ্গন, জিরো পয়েন্ট, স্টেডিয়াম, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট এবং গোলাপশাহ্ মাজার সংলগ্ন রাস্তায় ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি অনুমতি দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারা।
আরও সময় সংবাদ
ঢাকায় শান্তি সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। ২৮ অক্টোবরের এ সমাবেশে ১২ লক্ষাধিক লোকের সমাগম করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
যেখানে অনুমতি দেয়া হবে সেখানেই সমাবেশ করতে হবে: ডিএমপি
বাংলাদেশ
যেখানে অনুমতি দেয়া হবে সেখানেই সমাবেশ করতে হবে: ডিএমপি
বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দুই দলের প্রতিই ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পরামর্শ কোনো উন্মুক্ত স্থানে সমাবেশ করার। তবে যেখানে অনুমতি দেয়া হবে সেখানেই সমাবেশ করতে হবে এমন কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।
জল্পনা আর উৎকণ্ঠার ২৮ অক্টোবর, কী হতে পারে সেদিন?
রাজনীতি
জল্পনা আর উৎকণ্ঠার ২৮ অক্টোবর, কী হতে পারে সেদিন?
একদিকে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। অন্যদিকে সমান তালে মাঠে থেকে বিরোধীদের অপরাজনীতির জবাব দিয়ে ভোটের পথে হাঁটছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
Leave a Reply