২০১৯ বিশ্বকাপটা স্বপ্নের মতো কেটেছিল সাকিব আল হাসানের। এর পরপরই জুয়াড়ির কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার বিষয় অবহিত না করার অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা পান এক বছরের। করোনা মহামারির কারণে নিষেধাজ্ঞার সময়ে খেলা হয়েছে খুব কম। এর পর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাকিব ফিরলেন দলে, বাংলাদেশ দলও নিয়মিত খেলা শুরু করল, কিন্তু ফিরে পেলেন না নিজের প্রিয় ৩ নম্বর পজিশন।
চলতি বিশ্বকাপে সাকিবের ব্যাটিং পজিশন নির্ধারিত নয়। শ্রীলংকার বিপক্ষে অল্পের জন্য শতক হাতছাড়া করা ইনিংসে চারে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ব্যাট করেছেন স্বপ্নের মতো। এক্ষেত্রে সাকিব তিন নম্বরে নিজেকে রাখতে পারতেন কিনা, এমন প্রশ্ন উঠলে অভিমান ফুটে উঠেছে অধিনায়কের কণ্ঠে।
রাসেল ডমিঙ্গো ও তামিম ইকবালের অধীনে সাকিবের ব্যাটিং পজিশন বদলে যায়। তিন নম্বরে নাজমুল হোসেন শান্তকে সুযোগ দেওয়া হয়, তিনি অবশ্য খারাপও করেননি। তবে দীর্ঘদিন নিচে ব্যাট করায় সাকিবের পক্ষে এখন তিন নম্বরে ফিরে আসা কঠিন, জানালেন এমনটাই।
সাকিব বলেন, এই সময়ে এসে আসলে এসব চিন্তা করার উপায় ছিল না। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর, নিষেধাজ্ঞা থেকে যখন ফিরে আসি তারপর থেকেই তো আমাকে তিনে খেলানোর চেষ্টা করা হয়নি। যখন একটা খেলোয়াড় সর্বশেষ ২ বছর ধরে ৪-৫ নম্বরে খেলে আসছে, তার জন্য আবার ওপরে খেলার চ্যালেঞ্জ নেওয়া কঠিন।
অনেকেই অবশ্য মনে করেন, চ্যালেঞ্জ নেওয়া তো সাকিবের জন্য ডালভাত! তবে সবসময় যে চাইলেও সুপারম্যান কিংবা সুপারহিউম্যান হওয়া যায় না, সাকিব যেন সে কথাই বোঝাতে চাইলেন। তার ভাষ্য, সবসময় চ্যালেঞ্জ নিতে ভালো লাগে না।
এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তিনবার ৪ নম্বরে, তিনবার ৫ নম্বরে ও একবার ৬ নম্বরে ব্যাট করেছেন সাকিব।