আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কেরালা থেকে তার ওয়ানাড় সংসদীয় আসন ছেড়ে দিতে পারেন। ইতোমধ্যেই তার আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে সিপিআই।
তবে কি ইন্ডিয়া জোটের স্বার্থেই কি জেতা আসন ছেড়ে দিতে পারেন কংগ্রেস নেতা? এ নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। যদিও কংগ্রেসের তরফে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
সূত্রের মতে, এবার রাহুল দুটি নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। যার মধ্যে একটি কর্ণাটক বা তেলেঙ্গানা এবং আরেকটি উত্তরপ্রদেশ। কেরালায় আসন ভাগাভাগির আলোচনার মধ্যে সর্বশেষ উন্নয়নটি সামনে এসেছে, যেখানে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ (আইইউএমএল) কংগ্রেসের ওপর চাপ দিচ্ছে তাদের এবার ২টির পরিবর্তে ৩টি আসন দেওয়ার জন্য। আইইউএমএল ওয়ানাড় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়- কারণ এর বেশিরভাগ ভোটার মুসলিম সম্প্রদায়ের।
এছাড়া ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই) ওয়ানাড় থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার স্ত্রী অ্যানি রাজাকে প্রার্থী করেছে। এটি ইন্ডিয়া জোটের জন্য ভালো দেখাবে না যে একজন বিশিষ্ট নেতার স্ত্রী রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এলডিএফ-এর মধ্যে আসন ভাগাভাগি চুক্তির অংশ হিসাবে সিপিআই যে চারটি আসন পেয়েছিল তার মধ্যে ওয়ানাড় একটি। এছাড়াও কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল কেরালার মানুষ। তিনি রাজ্যের আলেপ্পি আসন থেকে লড়াই করবেন এবার। দলের দুই শীর্ষ নেতা একই রাজ্য থেকে লড়াই করুন চাইছেন না রাহুল।
ধারণা করা হচ্ছে, তেলঙ্গানার একটি আসন থেকে লড়তে পারেন রাহুল গান্ধী। এ ছাড়া উত্তর প্রদেশের একটি আসনেই প্রার্থী হতে পারেন কংগ্রেস নেতা। সোনিয়া গান্ধীর ছেড়ে যাওয়া রায়বরেলি আসন থেকে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে পারেন তিনি।
গতবারের লোকসভায় আমেঠি থেকে স্মৃতি ইরানির কাছে পরাজয়ের পর ফের একবার তিনি সে কেন্দ্রে দাঁড়াবেন কি না, তা নিয়েও জল্পনা চলছে।
রাহুল গান্ধী ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচেন আমেঠির পাশাপাশি ওয়েনাড় থেকে ভোটে লড়েন। সেখানে স্মৃতি ইরানির কাছে তার পরাজয় হয়। ওয়েনাড়ে অবশ্য তিনি চার লাখের বেশি ভোট পেয়ে অনায়াসেই জয় পেয়েছিলেন। তবে এলডিএফ প্রার্থী ঘোষণা করার পর থেকেই রটে গেছে রাহুল গান্ধী আর এই আসনে লড়বেন না।
Leave a Reply