1. admin@khoj24bd.com : admin :
  2. genuinebd.71@gmail.com : admin admin : admin admin
  3. tishibly@gmail.com : gungun gungun : gungun gungun
  4. somankhan92@gmail.com : golam mohiuddin : golam mohiuddin
  5. sakilsangdik@gmail.com : Sakil Faruki : Sakil Faruki
কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পটভূমি ও অগ্রসৈনিক একজন রায়হান - www.khojbd24.com
রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
তরুন ও চৌকস পুলিশ কর্মকর্তার সাহসিকতায় ছিনতাইকারী আটক কালীগঞ্জে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন আগামী নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: ড. ইউনূস বাংলাদেশ প্রেসক্লাব শ্রীপুর উপজেলা শাখার ৩১সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা, সভাপতি মোঃ বাবুল মিয়া সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহাগ রানা। ক্রীড়াই শক্তি..! ক্রীড়াই বল হ্যাপি নিউ ইয়ার উপলক্ষ্যে নাইট ফুটবল ফাইনাল ম্যাচ -২০২৪। সিজন-২। স্থানঃ নরসিংদী রায়পুরা উপজেলা ঐতিহ্যবাহী শ্রীরামপুর গরু বাজার মাঠ। জাতীয় সমাজসেবা দিবস-এ ‘’ফ্রেন্ডশিপ’’ পেলো জেলা পর্যায়ে মর্যাদাপূর্ণ ‘মানবকল্যাণ বিষয়ক এ্যাওয়ার্ড’ নোয়াখালীর সেনবাগে ঢিলেঢালা ভাবে জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত  নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ যুব ও উদ্যোক্তা সমাবেশ এবং বর্ণাঢ্য র‌্যালী অনুষ্ঠিত বিপুল উৎসাহে গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাইউল উদ্দিন খানের জন্মদিন পালিত। বিদায়ী বছরের আলোচনায় ছিল যেসব সংলাপ

কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পটভূমি ও অগ্রসৈনিক একজন রায়হান

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০২৪
  • ৩৩ Time View

 

মোঃ বুলবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

 

ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন, ইউকে এবং বাংলাদেশে অবস্থিত “এ, এস, আর স্কুল অফ ল” ( ASR School of Law) এর আইনের ছাত্র রায়হান আহমেদ। যিনি ব্যারিস্টার আনোয়ার ছাদাত রানা পরিচালিত ওই প্রতিষ্ঠানটি’র বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং স্বৈরাচার পতন আন্দোলনের একজন অন্যতম সমন্বয়ক। পুলিশের টিয়ার সেলে ঝলসে গিয়েও আন্দোলন এগিয়ে নিতে যিনি ছিলেন অদম্য ও অপ্রতিরোধ্য।ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন নেতৃত্বহীনতায় কুড়িগ্রাম নীরব, নিস্তব্ধ।
কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঘরে ছটফট করছিল। শুধুমাত্র দিক নির্দেশনা এবং সাপোর্ট পাওয়ার অভাবে। এমন পরিস্থিতিতে প্রথম দিন কলেজ মোড়ে ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত পথসভার আয়োজন করে। কিন্তু ছাত্রলীগের হামলায় শিক্ষার্থীরা পালিয়ে যায়।এর পর থেকে ঢাকায় নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি নিজ জেলা কুড়িগ্রামের সকল স্কুল-কলেজের সমন্বয়কদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ এবং দিকনির্দেশনা,আইনি পরামর্শ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিতে থাকেন এবং রাজপথে আন্দোলনের প্রতিফলন ঘটাতে মরিয়া হয়ে উঠেন কুড়িগ্রামের কৃতি শিক্ষার্থী রায়হান আহমেদ। আর এ কাজে সবার অগোচরে পর্দার অন্তরালে সহযোগিতা দিয়ে আসেন তার পিতা সাংবাদিক দৈনিক কালবেলার জেলা প্রতিনিধি সাইয়েদ আহমেদ বাবু।বিষয়টি বুঝতে পেয়ে ছাত্রলীগের হুমকি-ধামকি শুরু হয়। রাজনৈতিক রোষানলে পড়ে তার পরিবারটি।কিন্তু নিজের এবং পরিবারের কথা চিন্তা না করে ১ আগস্ট ২০২৪ইং তারিখে কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সকল সমন্বয়কদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আহবান করা হয়।সেদিন ছাত্রলীগ এবং পুলিশের দ্বি-মুখী চাপে ৪ ঘন্টা কর্মসূচি’র পর পুলিশের কাছে নিরাপত্তার শর্তে মাঠ থেকে চলে যেতে রাজি হয় আন্দোলনকারী ছাত্র -ছাত্রী। সাংবাদিকরা সেই সংবাদ সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমে প্রকাশ করলে সাংবাদিকদের উপর শুরু হয় ছাত্রলীগের হুমকি। যে হুমকির তালিকায় ছিলেন সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ ও এই বীর যুবকের পিতা সাইয়েদ আহমেদ বাবু ও আমার অন্যান্য সহযোদ্ধারাও।কিন্তু এতেও দমেনি সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীরা। ছাত্রলীগ রাতে হুমকি দেয় সাংবাদিক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের। যাতে কেই কর্মসূচিতে ঘর থেকে বের না হয়।সাংবাদিকদের হুমকি দেয় তাদে মেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করবে। কিন্তু হুমকিতে কাজ হয়নি।

প্রভাত হতে না হতেই শহরের প্রতিটি অলিগলি থেকে জনস্রোত নামে শিক্ষার্থীদের এবং সাংবাদিকদের স্বতঃস্ফূর্ত সংবাদ সংগ্রহের কাজ। যা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে পৌরবাজারে সাবেক পৌর মেয়র আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে আয়াত ও ভাস্তিকে মারপিট করে ছাত্রলীগ। কিছুক্ষণ পরেই পৌরবাজারস্থ দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামে ছাত্রলীগের একটি টিম সিনেমা স্টাইলে উঠে,এবং দীপ্ত টেলিভিশনের কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ইউনুছ আলীকে বেদম মারপিট করে লাঞ্ছিত করে। এ সময় অবরুদ্ধ করে রাখা হয় দেশ রুপান্তর ও ঢাকা পোস্ট’র কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি জুয়েল রানা এবং তরুণ সাংবাদিক দৈনিক সমকাল’র জেলা প্রতিনিধি সুজন মোহন্ত ও একাধিক টেলিভিশনের ক্যামেরামনকে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে।পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাৎক্ষণিকভাবে আবারো শুরু পরিকল্পনা-কিভাবে শাপলা চত্ত্বরে একটি সমাবেশ করা হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, ভোকেশনাল মোড়, মজিদা কলেজসহ শহরের প্রধান প্রধান সড়কে ব্যারিকেট দেয় পুলিশ ও ছাত্রলীগ। এতে আন্দোলন সফল করতে দিশেহারা হয়ে পড়েন রায়হান আহমেদ। আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত, পরিকল্পনা ধারাবাহিক যোগাযোগ এবং করেন ছাত্র-জনতার সৈনিক কুড়িগ্রামের সূর্য সন্তান রায়হান আহমেদ। সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীদের অভয় দিয়ে আবারো গতিপথ পরিবর্তন করে শহরের দাদা মোড়ে শিক্ষার্থীদের সমবেত হওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি। যেই কথা সেই কাজ। কালবিলম্ব না করে শহরের অলিগলি দিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জড়ো হতে থাকে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে শাপলা চত্ত্বর এবং ঘোষপাড়া সিংহ চত্ত্বরে অবস্থান নিয়ে ছাত্রলীগ দফায় দফায় ধাওয়া করে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আহত হয় সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী আয়াত সহ প্রায় ২০/৩০জন।ছাত্রলীগ সভাপতি রাজু আহমেদের নেতৃত্বে একটি দল হামলে পড়ে ওই নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের উপর। এতে মহুর্তে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের পৈশাচিক হামলার দৃশ্যে ক্ষুব্ধ করে তার সহযোদ্ধা ও এলাকার মানুষকে। এমন পরিস্থিতি দেখে মহুর্তেই সবাই সবার মত গ্রামে-গঞ্জে খবর দিতে থাকে আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার জন্য। মহুর্তে সাধারণ ছাত্র-জনতা লাঠি হাতে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে রাজপথে। এতে যোগ দেয় বিএনপি-জামাত -ইসলামি আন্দোলন সহ ডান ও বামদলের হাজারো সমর্থকরা। ২ ঘন্টার মধ্যে পুরাতন শহরের জিয়া বাজার থেকে ঘোষপাড়া পর্যন্ত জনসমুদ্রে পরিণত হয়।এ সময় সমন্বয়কদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মার্চ করতে বলেন ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন, ইউকে এবং বাংলাদেশে অবস্থিত “এ, এস, আর স্কুল অফ ল” ( ASR School of Law) এর আইনের ছাত্র রায়হান আহমেদ। নির্দেশনা পেয়ে শাপলার দিকে এগোতে থাকে তারা। কিন্তু পুলিশের মুহুর্মুহু সাউন্ড গ্রেনেড এবং টিয়ার সেলে থমকে যেতে হয়, পিছু হটতে হয়। আবারো সংগঠিত হয়ে স্লোগান দিয়ে পুলিশ-ছাত্রলীগকে ধাওয়া করে ছাত্র-জনতা। প্রতিটি ছাত্র-জনতার হাতে লাঠি দেখে মনবল ভেঙে যায় ছাত্রলীগ-পুলিশের। ধীরে ধীরে পিছু হঠতে থাকে ছাত্রলীগ-পুলিশ। শাপলা চত্ত্বরে এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ পালিয়ে গেলেও রোষানলে পড়ে পুলিশ-বিজিবি, ডিবিসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এ সময় কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে আটকা পড়েন আওয়ামীলীগের জেলা নেতৃবৃন্দ। জনতার রোষানলে পড়ে গণপিটুনিতে আহত হয় অনেকে।মহুর্তে জ্বালিয়ে দেয়া হয় আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়টি। এ সময় জীবন বাঁচাতে কেন্দ্রীয় কবরস্থানে আশ্রয় নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উঠে ছাত্র-জনতা বিজয়োল্লাস করতে থাকে। স্বৈরাচার বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। ধীরে ধীরে শহরের প্রতিটি গ্রাম থেকে লাখো জনতা বিজয় মিছিলে অংশ নেয়। জুলুম আর জালিমের পতনের কারণে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ শাপলা চত্ত্বরে সালাতে দাঁড়িয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। যে দৃশ্য দেখে অনেকে আনন্দে কান্নায় ভেঙে পড়েন।সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙ্গা উল্লাসে অংশ নেয় সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। ছাত্র-জনতা স্লোগান দিতে থাকে-“বাংলাদেশ আজ নতুন করে স্বাধীন হলো, জনগণ জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেলো। শেখ হাসিনার দিন শেষ, ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ”।ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয় কুড়িগ্রাম। কিন্তু ততক্ষণে ঢাকাসহ সারাদেশে বিজয়ের পতাকা উঠতে থাকে, গণভবনের ছাদে পত্ পত্ করে উড়তে থাকে ছাত্রদের পতাকা ও ধ্বনি-প্রতিধ্বনিত হতে বিজয়ের স্লোগান।শত শত ছাত্র-জনতা রাজপথে রক্ত দিয়ে বৈষম্যমুক্ত দেশের জন্ম দেয়।শহীদ আবু সাঈদদের মতো আত্ম বলিদান দেয়া যুবকরা আমাদের মাঝে না থাকলেও আমাদের মাঝে হাজারো বছর বেঁচে থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, নুসরাত তাবাসসুম, আরিফ সোহেল এবং আমাদের কুড়িগ্রামের বীর রায়হান আহমেদ সহ নাম না জানা অগ্রসৈনিকরা। তারাই আমাদের মুক্তির দূত, অণুপ্রেরণা এবং জাগ্রত চেতনা।মোঃ বুলবুল ইসলাম

কুড়িগ্রাম
০১৭২৭-৯৬৬৯২৯

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 www.khoj24bd.com bangla News web portal.
Theme Customized By BreakingNews