1. admin@khoj24bd.com : admin :
  2. genuinebd.71@gmail.com : admin admin : admin admin
  3. tishibly@gmail.com : gungun gungun : gungun gungun
  4. somankhan92@gmail.com : golam mohiuddin : golam mohiuddin
  5. sakilsangdik@gmail.com : Sakil Faruki : Sakil Faruki
জীবন থাকতে পদত্যাগ করবো না' কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় প্রধানশিক্ষিকা - www.khojbd24.com
সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
তরুন ও চৌকস পুলিশ কর্মকর্তার সাহসিকতায় ছিনতাইকারী আটক কালীগঞ্জে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন আগামী নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: ড. ইউনূস বাংলাদেশ প্রেসক্লাব শ্রীপুর উপজেলা শাখার ৩১সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা, সভাপতি মোঃ বাবুল মিয়া সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহাগ রানা। ক্রীড়াই শক্তি..! ক্রীড়াই বল হ্যাপি নিউ ইয়ার উপলক্ষ্যে নাইট ফুটবল ফাইনাল ম্যাচ -২০২৪। সিজন-২। স্থানঃ নরসিংদী রায়পুরা উপজেলা ঐতিহ্যবাহী শ্রীরামপুর গরু বাজার মাঠ। জাতীয় সমাজসেবা দিবস-এ ‘’ফ্রেন্ডশিপ’’ পেলো জেলা পর্যায়ে মর্যাদাপূর্ণ ‘মানবকল্যাণ বিষয়ক এ্যাওয়ার্ড’ নোয়াখালীর সেনবাগে ঢিলেঢালা ভাবে জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত  নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ যুব ও উদ্যোক্তা সমাবেশ এবং বর্ণাঢ্য র‌্যালী অনুষ্ঠিত বিপুল উৎসাহে গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাইউল উদ্দিন খানের জন্মদিন পালিত। বিদায়ী বছরের আলোচনায় ছিল যেসব সংলাপ

জীবন থাকতে পদত্যাগ করবো না’ কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় প্রধানশিক্ষিকা

  • Update Time : রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪
  • ১৬ Time View

 

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-

 

রোববার, ২৫ আগষ্ট ২০২৪ ইং কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুখসানা পারভীনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, ‘স্বৈরাচারী আচরণ’ এবং দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা অভিযোগ তুলে তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ ও চাকরিচ্যুতির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে স্কুলটির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষার্থীদের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন এই প্রধান শিক্ষক।

আন্দোলন ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক রুখসানা পারভীন বলেছেন, ‘আমি পদত্যাগ করবো না। যদি সুইসাইড (আত্মহত্যা) করতে হয় করবো, তাও আমি পদত্যাগ করবো না।’

‘কোনও স্টুডেন্ট পদত্যাগ করাতে পারে না। একটা আইন আছে, সরকারি স্কুলের একটা প্রসিডিউর আছে। তবে আমি কুড়িগ্রামে এক সেকেন্ডেও থাকতে চাই না। কিন্তু আমি জীবন থাকতে সাইন করবো না।’ যোগ করেন এই প্রধান শিক্ষক।

স্কুল সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক রুখসানা পারভীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালে কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তার পৈতৃক নিবাস গোপালগঞ্জ জেলায়। স্বামীর বাড়ি লালমনিরহাট জেলা সদরে। লালমনিরহাট থেকে প্রাইভেটকারে করে স্বামী রেজাউল করিমসহ নিয়মিত স্কুলে যাতায়াত করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি স্কুলটিকে অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতার আঁতুড়ঘরে পরিণত করেন বলে অভিযোগ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। এমনকি স্কুলের বিজ্ঞানাগারে নিজ স্বামীর বিশ্রামের জন্য তৈরি করেছেন বিশ্রামাগার।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, ‘স্বৈরাচারী আচরণ’ এবং দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা অভিযোগ তুলে তাকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। স্কুলের প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন কক্ষে তালা লাগিয়ে সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বকালীন গত ১৫ বছরে স্কুলের আয় বায়ের হিসাব প্রদানের দাবি জানিয়েছে তারা।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আঁচ করতে পেরে গা ঢাকা দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। কয়েকদিন ধরে তিনি স্কুলে অনুপস্থিত।

রুখসানা পারভীনের বিরুদ্ধে যত অভিযোগঃ স্কুলটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা বলছেন, স্কুলটি যেন প্রধান শিক্ষকের প্রমোদখানা! কোনও নিয়মের তোয়াক্কা না করে স্কুলে একরকম ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করেছেন প্রধান শিক্ষক। তিনি বেপরোয়াভাবে স্কুল পরিচালনা করছেন। গোপালগঞ্জে বাড়ি হওয়ায় তিনি সবসময় শিক্ষকদের হুমকির ওপর রাখতেন। শিফট পরিবর্তনসহ বদলির ভয় দেখাতেন। ফলে ভয়ে কেউ মুখ খুলতেন না।

অর্থ আত্মসাৎঃ শিক্ষক ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, স্কুলটিতে দুই শিফটে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। গত ১৫ বছরে প্রধান শিক্ষক স্কুল ফান্ডের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিভিন্ন প্রকার খাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে বাৎসরিক ও মাসিক যে টাকা আদায় করা হতো তার কোনও আয় ব্যয়ের হিসাব তিনি দেননি। প্রতিমাসে কর্মচারীদের পারিশ্রমিক বাবদ শিক্ষার্থী প্রতি ২০ টাকা করে প্রায় ৪০ হাজার টাকা আদায় করা হয়। কিন্তু ব্যয় হয় সামান্য। স্কুলে শিক্ষার্থীদের কোনও কমনরুম না থাকলেও কমনরুম ফি আদায় করা হয়। আরও বেশ কয়েকটি খাতের লাখ লাখ টাকার কোনও হিসাব তিনি দিচ্ছেন না।

ভর্তি ও শিফট পরিবর্তনে বাণিজ্যঃ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবি, যোগদানের কয়েক বছরের পর থেকেই প্রধান শিক্ষক রুখসানা পারভীন স্কুলে ভর্তি বাণিজ্য শুরু করেন। এ ছাড়াও টাকার বিনিময়ে তিনি মর্নিং শিফটের শিক্ষার্থীকে ডে শিফটে এবং ডে শিফটের শিক্ষার্থীদের মর্নিং শিফটে দিতেন। এসব কাজে কুড়িগ্রামের কয়েকজন সাংবাদিক নেতা, একজন সাবেক তথ্য কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ মিলে একটি সিন্ডিকেট কাজ করতো। অপেক্ষমাণ তালিকার ক্রম ভঙ্গ করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। এ ছাড়াও লটারিতে টেকেনি এমন শিক্ষার্থীও ভর্তির অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

ভয়ে তটস্থ থাকতেন শিক্ষকরাঃ

চোখের সামনে নানা অনিয়ম ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড চললেও ভয়ে মুখ খুলতেন না সাধারণ শিক্ষকরা। জেলার বিভিন্ন পেশার প্রভাবশালীদের সঙ্গে সখ্যতা রুখসানাকে দিয়েছে অবাধ অনিয়মের ‘ছাড়পত্র’। কোনও শিক্ষক মুখ খোলার চেষ্টা করলেই তাদেরকে বদলির হুমকি দিতেন। এমনকি শিক্ষকদেরকে নিরাপত্তা নিয়েও ভয় দেখাতেন। ফলে ভয়ে সাধারণ শিক্ষকরা কিছু বলতে পারতেন না।

তবে স্কুল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর শিক্ষকরা সাহস ফিরে পেয়েছেন। তারা শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।

স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক (প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্বে নিয়োজিত) তুষার কুমার রক্ষিত বলেন, ‘আমাদের সবার মুখ এতদিন বন্ধ ছিল। আমাদের কিছু বলার ক্ষমতা ছিল না। কথা বললেই বদলির হুমকি, মর্নিং থেকে দিবা, দিবা থেকে মর্নিং শিফটে দেওয়াসহ নানা ধরনের হয়রানির হুমকিতে আমাদের দমিয়ে রেখেছিল। এখন আমরা শিক্ষার্থীদের দাবি ও আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও উপপরিচালককে লিখিত আকারে জানিয়েছি।’অভিযোগ অস্বীকার প্রধান শিক্ষকেরঃ তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রুখসানা পারভীন। আগে সব শিক্ষক কর্মচারী তার পাশে থাকলেও এখন বিপক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এসব অভিযোগ করছেন বলে দাবি তার।

তার দাবি, ‘গার্লস স্কুলে কী হয় তা সবাই জানে। আমি স্কুলটিকে কীভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছি। কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারে আমি ভর্তি বাণিজ্য করে কারও কাছে পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছি, আমি তার জন্য সই দিতে রাজি আছি।’

গত ১৫ বছরের হিসাব প্রসঙ্গে এই প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ চাইলে আমি সব হিসাব দিতে প্রস্তুত। অভিযোগের সত্যতা পেলে কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে তা মাথা পেতে নেবো।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 www.khoj24bd.com bangla News web portal.
Theme Customized By BreakingNews