নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালিয়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যার ঘটনায় সাবেক দুই আইজিপিসহ এ পর্যন্ত সদর দপ্তর ও ডিএমপির ৯৮জন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে এখনও কর্মরত আছেন ৬৪ জন। বাকিদের পাঠানো হয়েছে অবসরে। ডিএমপির বিভিন্ন থানায় হওয়া ৮০টি হত্যা মামলার নথি থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়। এসব কর্মকর্তা কোথায় আছেন, সে বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর কিছু বলছে না। মামলা হওয়ার পর থেকে তাদের প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
গেলো জুলাই মাসজুড়ে চলা ছাত্র-জনতার আন্দোলন থামাতে ব্যাপক দমন-পীড়ন চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগসহ তাদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে এসব ঘটনায় নিহত হয়েছে ৬৪৪ জন, আর আহত মানুষের সংখ্যা সাড়ে ৯ হাজারের বেশি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হতাহতের ঘটনায় মামলা হচ্ছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী কেবল ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় হওয়া ৮০টি হত্যা মামলায় পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ৯৪জন সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মামলার আসামি সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৩৮টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬টি মামলা হয়েছে সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনের নামে। আরেক সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক সাতটি মামলার আসামি।
এরইমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক এই দুই আইজিপি। এছাড়া গ্রেপ্তার হয়েছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দ্লু¬াহ হিল কাফি। পুলিশের এই তিন কর্মকর্তা বর্তমান রিমান্ডে রয়েছেন। এর বাইরে দেশের বিভিন্ন স্থানে হওয়া মামলায় আরও কিছু পুলিশ সদস্য আসামি হয়েছেন। গ্রেপ্তারও হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
হত্যা মামলায় আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও সাবেক সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামানকে ৫ই আগষ্টের পর আর দেখা যায়নি। এছাড়া সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ ও সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্ল¬ব কুমার সরকারও আত্মগোপনে রয়েছেন।
মামলার আসামি হওয়া পুলিশের একাধিক কর্মকর্তাকে বিভিন্ন দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। তারা নিয়মিত অফিস করছেন কি না, তা স্পস্ট করেনি পুলিশ।
Leave a Reply