নিজস্ব প্রতিবেদক: শেরপুর ও ময়মনসিংহের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এই দুই জেলায় এখনো অনেক মানুষ পানিবন্দী। তাঁদের জন্য ত্রাণসহায়তা প্রয়োজন। আর নেত্রকোনায় আরও তিনটি উপজেলায় বন্যার বিস্তৃতি ঘটেছে। প্লাবিত হয়েছে ১২৩টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল। জেলার ১৮৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ আছে। ময়মনসিংহে আজ থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে বন্যার কিছুটা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী উপজেলায় ঢলের পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে, দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। উজানের পানি বিভিন্ন নদ-নদী হয়ে বইছে ভাটির দিকে।
শেরপুর সদর উপজেলার পাকুরিয়া ও ধলা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে দেখা যায়, ঢলের পানির তোড়ে চৈতনখিলা বটতলা থেকে বাদাতেঘরিয়া গ্রাম হয়ে ধলাকান্দা পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে এবং সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সড়কের দুই পাশের বাদাতেঘরিয়া ও ধলা নামাপাড়া গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর পানিতে প্লাবিত।
এদিকে, বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে নেত্রকোণায়। সোমেশ্বরী নদীর পানি কমলেও, উব্দাখালী নদীর পানি বইছে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপরে। বেড়েছে কংশ নদীর পানিও। এতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
Leave a Reply