আওয়ামী লীগ সরকারের চালু করা সার্বজনীন পেনশন স্কিম অন্তর্বর্তী সরকারও বহাল রেখেছে। দেশের সকল নাগরিকের সামাজিক সুরক্ষার জন্য ২০২৩ সালে সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করে তৎকালীন সরকার। এক বছরে এই কর্মসূচীতে নিবন্ধন করেছে ৩ লক্ষ ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নিবন্ধনের সংখ্যা অনেক কমে গেছে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি ইমরুল হাসান মাসুম, দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে থাকেন রাজধানীর মিরপুরে। বৃদ্ধ বয়সে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই গেল বছর আগষ্টে সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর পরের মাসে সেপ্টেম্বরে তিনি যুক্ত হন এই কর্মসূচীতে। সার্বজনীন পেনশন স্কিম সুরক্ষায় মাসিক তিন হাজার টাকায় নিবন্ধন করেন এবং নিয়মিত টাকা জমা দেন। কিন্তু গেল ৫ই আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এই টাকার ভবিষৎ নিয়ে শঙ্কায় পরে যান তিনি।
মাসুমের মতো নিবন্ধন করা গ্রাহকরা সবাই সার্বজনীন পেনশন স্কিমের ভবিষৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় পরে যায়। তবে এ নিয়ে দ্বিধার কোন কারণ নেই বলে জানিয়েছেন সার্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষ এর সদস্য গোলাম মোস্তফা।
দেশের সব মানুষের সামাজিক নিরাপত্তার জন্য আওয়ামীলীগ সরকার গেল বছরের ১৭ই আগস্ট চালু করে সার্বজনীন পেনশন স্কিম। প্রবাস, প্রগতি সুরক্ষা ও সমতা এই চারটি স্কিম নিয়ে সার্বজনীন পেনশন চালু হয়। পরবর্তীতে প্রত্যয় স্কিম চালু করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনে তা বাতিল করে সরকার।
সার্বজনীন পেনশন কতৃপক্ষের তথ্য অনুসারে চালু করার পর সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই কর্মসূচীতে নিবন্ধন ও চাঁদা পরিশোধ করে করেছেন ৩ লক্ষ ৭২ হাজার ২৫৪ জন। তাদের জমা দেয়া টাকার পরিমান ১শ ২৭ কোটি ৮৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১শ ২৪ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে। পেনশন স্কিমে নিবন্ধনকারীদের মধ্যে ৭৭ শতাংশই করেছে সমতা স্কিমে।
এই কর্মসূচীকে আরো গতিশীল এবং মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছে পেনশন কর্তৃপক্ষ।
সার্বজনীন পেনশন কতৃপক্ষের তথ্য অনুসারে
নিবন্ধন ও চাঁদা পরিশোধ কারীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৭২ হাজার ২৫৪ জন
জমাকৃত টাকার পরিমান ১শ ২৭ কোটি ৮৩ লক্ষ ২৫ হাজার
জমাকৃত টাকার মধ্যে ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে ১শ ২৪ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা
নিবন্ধনকারীদের মধ্যে ৭৭ শতাংশই করেছে সমতা স্কিমে।
Leave a Reply