নিজস্ব প্রতিবেদক : বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসবের আজ মহাঅষ্টমী। সকাল থেকেই ভক্ত ও অনুসারীদের আগমনে মুখরিত মন্দির-মণ্ডপ। মহাষ্টমীর বিহিত পূজা ও সন্ধি পুজায় অংশ নেন ভক্তরা। রামকৃষ্ণ মিশন ও বেশ কিছু মন্দিরে সাড়ম্বরে আয়োজন করা হয় কুমারী পূজার। কুমারী-প্রতীকে মাতৃরূপে পূজিত হন কন্যাশিশু। ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠে কুমারি পূজায় ভিড় করেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী।
মাতৃরূপে যে কুমারীর পূজা হয় তা দেবী দুর্গারই আরেক রূপ। বাঙালি সনাতন সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাঅষ্টমীর বড় আয়োজন এই পূজা। এদিন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন এবং সারাদেশের বেশ কিছু মন্দিরে কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়।
ঢাকার গোপীবাগে রামকৃষ্ণ মঠে মহাষ্টমীর সকালে হয় কুমারী পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। ঢাকের বাদ্যে, শঙ্খ ও উলুধ্বনীতে মাতৃরূপে কুমারী কন্যাশিশুর পূজা করেন ভক্তরা।
৫ বছর থেকে ৮ বছর বয়সী কন্যাশিশু দিয়ে কুমারী পুজা করে থাকেন। এবার মাতৃরূপে যিনি পূজিত হন, শাস্ত্রমতে তার নাম সংহিতা। দেবীরূপে তিনি আশীর্বাদ করেন ভক্তদের।
রামকৃষ্ণ মঠের মহারাজ জানালেন, শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর রূপ বেশি প্রকাশ পায় এবং মাতৃরূপ উপলব্ধি করাই কুমারী পূজার উদ্দেশ্য।
রামকৃষ্ণ মঠে আড়ম্বরপূর্ণ কুমারী পূজায় অংশ নেন পূজারি ও ভক্তরা। কুমারী বালিকার মধ্যে বিশুদ্ধ নারীর রূপ কল্পনা করে তাকে দেবী জ্ঞানে পূজা করেন ভক্তরা।
বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপে মহাঅষ্টমীর বিহিত পূজা, সন্ধি পূজা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। পূজা শেষে ভক্তরা দেবীর চরণে অঞ্জলি নিবেদন করেন।
অষ্টমী এবং নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে দেবী দুর্গার আরাধনা পুজোই হলো সন্ধিপূজা। অষ্টমির দিনেই এবছর নবমী তিথি শুরু হয়েছে বলে জানান পুরোহিত।
Leave a Reply