কক্সবাজার সংবাদদাতা: বর্জ্যের অভাবে বন্ধ হওয়ার পথে কক্সবাজারের রামুতে নির্মিত জৈব সার কারখানার উৎপাদন। নির্ধারিত জায়গায় ময়লা না ফেলায় কারখানার সরবরাহ কমে গেছে। উল্টো খোলা জায়গায় বর্জ্য ফেলায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। জৈব সার উৎপাদন বাড়ানো ও পরিবেশ দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেয়ার দাবি স্থানীয়দের।
পচনশীল বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করে জৈব সার তৈরি করতে ২০১৮ সালে কক্সবাজারের রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়িতে নির্মাণ করা হয় জৈব সার কারখানা। এতে ব্যয় হয় দুই কোটি টাকা। এখানে প্রতি মাসে ২০ থেকে ৩০ টন জৈব সার উৎপাদন করার কথা ছিল। কিন্তু বর্জ্য সরবরাহের অভাবে এখানে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র আট থেকে দশ টন সার।
কক্সবাজার শহরে শতাধিক রেস্তোঁরা, বাজার, বাসা-বাড়ি থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০০ টন ময়লা আর্বজনা তৈরি হয়। এসব বর্জ্য ডাম্পিং স্টেশনে না নিয়ে রাখা হচ্ছে বাঁকখালী নদীর কস্তুরা ঘাটে। এতে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি কমে আসছে সার তৈরির উৎপাদান।
কারখানার ঠিকাদার মা. ইয়াছিন জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত বর্জ্য না পাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে কারখানার সার উৎপাদন।
তবে পৌরসভার সাথে সমন্বয় করে কারখানার উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মা. সালাহ উদ্দিন ।পরিবেশ দূষণ রোধে কারাখানার উৎপাদন বাড়াতে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
Leave a Reply