লালমনিরহাটের কুলাঘাট ইউপিতে আফরোজা বেগম (২৩) নামে এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার কুলাঘাট ইউপির টিকটিকি বাজার সংলগ্ন সাকোয়া একালায় গৃহবধূর বাবার বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূ আফরোজা ওই এলাকার আবুল হোসেনের মেয়ে এবং লালমনিরহাট জেলা শহরের নর্থবেঙ্গল এলাকার মার্জান আলীর স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, এক বছর আগে জেলা শহরের বক্তার আলীর ছেলে মার্জানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আফরোজার। পছন্দের ছেলের সঙ্গে বিয়ে না হওয়ায় বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। বিয়ের পর থেকেই মার্জান লেখা পড়ার কারণে ঢাকায় থাকতেন। এ কারণে দিন দিন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে আরো দূরত্ব বেড়ে যায়। এ সুযোগে স্ত্রী আফরোজা তার আগের পছন্দের ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ রাখে এবং বেশিরভাগ সময় বাবার বাড়িতে থাকতেন। স্বামী মার্জান স্ত্রীকে ফোন দিলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোন ব্যস্ত পায়। পরে বিষয়টি তার স্বামী জানতে পারলে তাকে সেখান থেকে সরে আসতে বলেন। তাতেও কোনো কাজ না হলে তার স্বামী আর কোনোদিন তার কাছে আসবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত স্বামী স্ত্রীর মাঝে মোবাইল ফোনের হোয়াটস অ্যাপে কথোপকথন হয়। সেখানে আফরোজার শেষ কথা ছিল ‘জান আর দেখা হবে না’। এরপর বুধবার সকালে নিজ ঘরে তার বাবা মা গলায় ওড়না পেঁচানো মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ সময় পুলিশ আফরোজার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি তদন্তের জন্য উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আফরোজার চাচাতো ভাই সম্রাট জানায়, বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মাঝে বনিবনা হচ্ছিল না। তবে কি কারণে বনিবনা ছিল না তা আমার জানা নেই।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি তদন্ত স্বপন কুমার রায় বলেন, খবর পেয়ে অফিসারসহ নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করি। এ সময় মৃত আফরোজার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়।
Leave a Reply